Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Viral Video: সবুজ উপড়ে ফেলছে ওরা! অন্ধকার চিরে শোনা যাচ্ছে পাখির কান্না, ভাইরাল ভিডিয়ো

Viral Video: সম্প্রতি সমাজমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে সেই নির্মম বনচ্ছেদের একটি ভিডিয়ো। যা দেখে নিন্দার ঝড় উঠেছে। দেখা যাচ্ছে রাতের অন্ধকারে যখন নৃশংস ভাবে চলছে গাছ কাটার কাজ, তখন ঘর ছাড়া হয়ে চিৎকার করে কাঁদছে ময়ূর সহ আরও অনেক প্রজাতির পাখিরা।

Viral Video: সবুজ উপড়ে ফেলছে ওরা! অন্ধকার চিরে শোনা যাচ্ছে পাখির কান্না, ভাইরাল ভিডিয়ো
Follow Us:
| Updated on: Apr 04, 2025 | 5:50 PM

ক’দিন আগেই উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে সরকারের বুল ডোজার অভিযানের তীব্র সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল এই কাজ ‘অসাংবিধানিক’ এবং ‘অমানবিক’। কোর্ট বলেছিল ‘আশ্রয়ের অধিকার বলে একটা কথা আছে’। তবে সেই অধিকার কি কেবল মানুষের জন্য প্রযোজ্য। আর পশু-পাখিদের বেলা? তাঁদের ঘর হারা হওয়ার কান্না শুনবে কে?

হায়দরাবাদে নির্বিচারে ৪০০ একর জায়গা জুড়ে চলছে বনচ্ছেদ। নগরায়ণ, উন্নয়নের এবং আইটি পার্ক তৈরির নামে কাঞ্চা গাছিবাউলি বনের বিস্তীর্ণ অংশ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। যা নিয়ে রেভেন্থ রেড্ডি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সাধারণ মানুষ, পরিবেশপ্রেমী থেকে হায়দরাবাদ ইউনিভার্সিটির পড়ুয়ারাও। রাস্তায় নেমে দেখাচ্ছেন বিক্ষোভ।

সম্প্রতি সমাজমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে সেই নির্মম বনচ্ছেদের একটি ভিডিয়ো। যা দেখে নিন্দার ঝড় উঠেছে। দেখা যাচ্ছে রাতের অন্ধকারে যখন নৃশংস ভাবে চলছে গাছ কাটার কাজ, তখন ঘর ছাড়া হয়ে চিৎকার করে কাঁদছে ময়ূর সহ আরও অনেক প্রজাতির পাখিরা। তাঁদের সম্মিলিৎ কান্নায় কান পাতাই দায়।

কেটি রামা রাও Xমাধ্যমে বনের সেই ভিডিয়ো প্রকাশ করে লিখেছেন, “পশ্চিম হায়দরাবাদে ৪০০ একর জায়গা জুড়ে নির্লজ্জ ভাবে চলছে সবুজ হত্যা। কংগ্রেস সরকারের বুলডোজার এবং জেসিবিগুলি যখন ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে তখন ময়ূরদের সাহায্যের জন্য আর্ত চিৎকার শুনতে পাচ্ছেন আপনি।”

বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব জানান, কেন্দ্র তেলঙ্গানা সরকারকে ৪০০ একর জমিতে গাছ কাটার বিষয়ে তথ্যগত প্রতিবেদন চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে। রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে উত্তর দিতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, “হায়দরাবাদে একটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। আমি বুঝতে পারছি না রাজ্য সরকারের গাছ এবং সবুজ এলাকার সঙ্গে কী শত্রুতা রয়েছে যে রাতের অন্ধকারে তাদের অভিযান চালাতে হচ্ছে। রাজ্য সরকার ৪০০ টিরও বেশি গাছ কেটে ফেলেছে। ময়ূরের মতো বন্য প্রজাতিকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভিডিয়োতে, ছবিতে আপনি তা দেখতে পাচ্ছেন।”

তিনি বলেন। “আমরা মুখ্য সচিবকে একটি নোটিশ পাঠিয়েছি এবং আমরা একটি তথ্যগত প্রতিবেদনও চেয়েছি। আমরা অবশ্যই এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।”

যদিও বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আর গাছ না কাটার নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি বিআর গাভাই এবং এজি মাসিহের একটি বেঞ্চ ঘটনাস্থলে ব্যাপকভাবে গাছ কাটার বিষয়ে সংবাদপত্রের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করার পর, তেলেঙ্গানা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার (বিচার বিভাগ) কে অবিলম্বে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩.৩০ টার মধ্যে একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে। প্রসঙ্গত, এখনও অবধি ৪০০ টিরও বেশি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ২৮ মার্চ এবং ২ এপ্রিলের স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গিয়েছে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই বনভূমির কতটা অংশের গাছ কাটা হয়ে গিয়েছে।