Arvind Kejriwal: ‘গুজরাটে আপের ভোট শতাংশ বাড়ছে, গ্রেফতার হলে…’, কারণ ব্যাখ্যা করলেন অরবিন্দ কেজরীবাল

Arvind Kejriwal: মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে সিবিআই অভিযান নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজধানী দিল্লির রাজনীতি। লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনার সুপারিশে তদন্ত শুরু করে সিসোদিয়ার বাড়িতে পৌঁছেছিল সিবিআই।

Arvind Kejriwal: 'গুজরাটে আপের ভোট শতাংশ বাড়ছে, গ্রেফতার হলে...', কারণ ব্যাখ্যা করলেন অরবিন্দ কেজরীবাল
ছবি সৌজন্য়ে : PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 01, 2022 | 2:22 PM

নয়া দিল্লি: বেশ কয়েকদিন ধরেই একাধিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আম আদমি পার্টি (Aam Admi Party) ও বিজেপির মধ্য রাজনৈতিক চাপান উতর তুঙ্গে উঠেছে। দিল্লি সরকারের নয়া আবগারি নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার (Manish Sisodia) বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল (Arvind Kejriwal)। কেজরীবাল জানিয়েছেন, আম আদমিকে পার্টিকে ধাক্কা দেওয়ার জন্য মণীশের বাড়িতে পরিকল্পনা করে অভিযান চালানোর ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, কিন্তু তাদের এই ষড়যন্ত্র সম্পূর্ণ উল্টো হিসেবে প্রমাণিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাটের প্রস্তুতি সভা থেকে এই প্রসঙ্গে কেজরীবাল বলেন, “মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে সিবিআই অভিযানের পর থেকে গুজরাটে আম আদমি পার্টি ভোট ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মণীশকে গ্রেফতার করা হলে এই রাজ্যে আপের ভোট আরও ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।” উল্লেখ্য, চলতি বছরের শেষদিকে গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচনে। ক্ষয়িষ্ণু কংগ্রেসকে টেক্কা দিয়ে বিজেপি বিরোধী প্রধান শক্তি হিসেবে উঠে আসার চেষ্টা করছে আম আদমি পার্টি। দিল্লির পর পঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতা দখলের আপের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে ছিল। তখনই গুজরাটে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরীবাল।

“দিল্লি বিধানসভায় আমরা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলাম এটা প্রমাণ করার জন্য যে ‘অপারেশ লোটাস’ সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। একজন বিধায়কও দল বা নিজেদের অবস্থান বদল করেননি।” বলেন অরবিন্দ কেজরীবাল। সম্প্রতি দিল্লির বিধানসভায় আস্থা ভোট হয়েছিল, এই তাতে কেজরীবাল নেতৃত্বাধীন আম আদমি পার্টি জয়ী হয়েছে। আস্থা ভোটের দিন দিল্লি বিধানসভায় আম আদমি পার্টির ৬২ জন বিধায়কের মধ্যে ৫৯ জন উপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিত ৩ বিধায়কের মধ্যে ২ জন বিদেশে রয়েছেন এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন এই মুহূর্তে বেআইনি আর্থিক লেনদেন মামলায় জেলবন্দি রয়েছেন। ৫৮ জন বিধায়ক ও স্পিকার সহ সকলেই আপ সরকারের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন।

মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে সিবিআই অভিযান নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজধানী দিল্লির রাজনীতি। লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনার সুপারিশে তদন্ত শুরু করে সিসোদিয়ার বাড়িতে পৌঁছেছিল সিবিআই। সম্প্রতি দিল্লির স্কুলগুলিতে শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন দিল্লির এলজি। আপ যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেছে। আগামী দিনে এই নিয়ে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেটাই এখন দেখার।