৯ ব্যক্তির শরীরে ভাইরাস ছড়াচ্ছেন একজন আক্রান্ত, এইমসের গবেষণায় আরও খারাপ সময়ের ইঙ্গিত

সম্প্রতি একটি গবেষণা উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। করোনার ভারতীয় মিউট্যান্ট একজন রোগীর থেকে কতজনের শরীরে ছড়াচ্ছে সেই তথ্যই প্রকাশ পেয়েছে এইমসের এই গবেষণায়।

৯ ব্যক্তির শরীরে ভাইরাস ছড়াচ্ছেন একজন আক্রান্ত, এইমসের গবেষণায় আরও খারাপ সময়ের ইঙ্গিত
ছবি- টুইটার
Follow Us:
| Updated on: Apr 25, 2021 | 10:38 PM

নয়া দিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের সুনামি আছড়ে পড়েছে ভারতের বুকে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ছাড়িয়ে গিয়েছে সাড়ে ৩ লক্ষের গণ্ডি। মৃত্যুমিছিল থামছে না। প্রতিদিনই দেশের অধিকাংশ রাজ্যে সংক্রমণের রেকর্ড গড়ছে করোনা। কূটনৈতিক সম্পর্কের শীতলতা ভুলে এই সঙ্গীন পরিস্থিতিতে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান-সহ অন্যান্য দেশগুলি। তবে আসল ভয় বাড়াচ্ছে করোনার ভারতীয় সংস্করণ। সম্প্রতি একটি গবেষণা উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। করোনার ভারতীয় মিউট্যান্ট একজন রোগীর থেকে কতজনের শরীরে ছড়াচ্ছে সেই তথ্যই প্রকাশ পেয়েছে এইমসের এই গবেষণায়।

করোনার যে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে তার বৈজ্ঞানিক নাম ‘B.1.6.1.7’ রেখেছেন গবেষকরা। গতবারের তুলনায় এ বার প্রায় তিনগুণ হারে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য এই মিউট্যান্টই দায়ী কি না সেটা জানতে বিগত কয়েক ধরেই গবেষণা চালাচ্ছে একাধিক সংস্থা। মাসখানেকের কাছাকাছি ভাইরাসের নতুন প্রজাতি নিয়ে এইমসের চিকিৎসকরা গবেষণা চালিয়ে যে তথ্য সামনে এনেছেন তা একদিকে ভয়াবহ তো বটেই। পাশাপাশি আগামিদিনে আরও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার ইঙ্গিতও দিচ্ছে।

এইমসের গবেষকরা জানাচ্ছেন, করোনা ভাইরাসের ভারতীয় মিউট্যান্টে আক্রান্ত এক ব্যক্তি যদি ১০ জনের সংস্পর্শে আসেন, তার মধ্যে কমপক্ষে ৯ জনের শরীরে অজান্তেই তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন তিনি। দিল্লির করোনা আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল উঠে এসেছে। এই রিপোর্ট ভয়াবহ কারণ, গত বছর করোনা যখন প্রথমবার ভারতে ধাক্কা মেরেছিল, সেই সময় একজন আক্রান্ত গড়ে ৪ জনকে সংক্রামিত করেছিলেন। এক বছরের ব্যবধানে সেই সংক্রমণের হার দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে গিয়েছে। বস্তুত সেই কারণেই গত বছর ভারতের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষ না পেরোলেও এ বছর তা আড়াই লক্ষের ঘরে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

আরও পড়ুন: খুব খারাপের দিকে এগোচ্ছে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত প্রায় ১৬ হাজার

ভাইরাসের এই নতুন সংস্করণের প্রকোপ যদি এভাবেই জারি থাকে, তবে তা কোথায় গিয়ে থামবে তা কারোর পক্ষেই বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে সংক্রমণের বর্তমান হার দেখে গবেষকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আগামী মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ভারতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫ লক্ষের দোরগোড়ায় পৌঁছে যেতে পারে। প্রত্যেকদিন মৃত্যু হতে পারে অন্তত ৫০০০ মানুষের।

আরও পড়ুন: অক্সিজেন সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম স্বাস্থ্যভবনে, রইল হেল্পলাইন নম্বর