Nilwande Dam: ৮ কোটির বাঁধ প্রকল্প নির্মাণ ৫১৭৭ কোটি টাকায়! সময় লাগল ৫৩ বছর

Nilwande dam project completed after 53 years: নীলওয়ান্দে বাঁধ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল সেই ১৯৭০ সালে। ৫৩ বছর পর নির্মাণকাজ শেষ হল। খরচ বেড়ে গেল ৬৪৭ গুণ!

Nilwande Dam: ৮ কোটির বাঁধ প্রকল্প নির্মাণ ৫১৭৭ কোটি টাকায়! সময় লাগল ৫৩ বছর
নিলওয়ান্দে বাঁধ প্রকল্প
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 31, 2023 | 6:15 PM

নাসিক: নীলওয়ান্দে বাঁধ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল সেই ১৯৭০ সালে। প্রকল্পের আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছিল ৮ কোটি টাকা। তারপর থেকে কেটে গিয়েছে দীর্ঘ পাঁচ দশক। ৫৩ বছর পর ৫১৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে অবশেষে শেষ হল সেই বাঁধ নির্মাণের কাজ। বুধবার (৩১ মে) বাঁধ সংলগ্ন খালে প্রথমবার জল ছেড়ে বাঁধটির উদ্বোধন করলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলা অত্যন্ত খরা-প্রবণ। এই জেলারই অকোলে মহকুমায় প্রভারা নদীর উপর এই নীলওয়ান্দে বাঁধ প্রকল্প নির্মিত হয়েছে। বাঁধটি আহমেদনগর জেলার ছয়টি খরাপ্রবণ এলাকার জল সঙ্কটের সমস্যার সমাধান করবে বলে আশা করা হচ্ছে। শুধু আহমেদনগরই নয়, নাসিক জেলার সিন্নার এলাকার জলের ঘাটতি পুরণেও এই বাঁধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। বিশেষ করে ওই এলাকার চাষাবাদের কাজে ব্যাপক অগ্রগতি ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।

১৯৭০ সালে এই বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পটির অনুমোদন দিয়েছিল মহারাষ্ট্র সরকার। তবে, ওই এলাকার দুটি গ্রাম এই প্রকল্পের বিরোধিতা করা শুরু করেছিল। ফলে শুরু থেকেই প্রকল্পটির কাজ আটকে গিয়েছিল। অবশেষে, ১৯৯৩ সালে নীলওয়ান্দে এলাকায় বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করা যায়। এই বাঁধকে কেন্দ্র করে বাম দিকের খাল, ডান দিকের খাল, উচ্চ স্তরের পাইপের খাল এবং উপসা সেচ খাল নামে মোট চারটি খাল রয়েছে। বাম দিকের খালটি ৮৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং এই খালের মাধ্যমে আহমেদনগর জেলার আকোলে, রাহাতা, শ্রীরামপুর, কোপারগাঁও এবং সিন্নারের ১১৩টি কয়েকটি গ্রামের জল সমস্যার সমাধান হবে। ডান খালটি ৯৭ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই খালটির মাধ্যমে আহমেদনগর জেলার ৬৯টি গ্রামের ২০,৩৯৫ হেক্টর জমিতে সেচের কাজ করা হবে।

বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছিল ২০১৪ সালেই। কিন্তু, খালগুলি খননের কাজ তখনও বাকি ছিল। ৯ বছর পর, বামদিকের খাল খননের কাজ সম্পূর্ণ হলেও, ডানদিকের খালটি খননের কাজ এখনও কিছু বাকি রয়েছে। শুধু তাই নয়, এটিই দেশের প্রথম বাঁধ প্রকল্প, যেখান থেকে পাইপের মাধ্যমে ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে। তবে সেই কাজ শেষ হতে এখনও বছর তিনেক সময় লাগবে। বাঁধ প্রকল্পটি নিয়ে আহমেদনগর জেলার মন্ত্রী রাধাকৃষ্ণ ভিখে পাতিল বলেছেন, “আমাদের শুকনো জমিতে এখন সেচের কাজ হবে। লাভবান হবেন কৃষকরা। জলের প্রতীক্ষায় দুই প্রজন্ম কেটে গিয়েছে। আমরা আশা করি তাদের অপেক্ষা খুব শিগগিরই শেষ হবে।” প্রকল্পের কাজে এত বিলম্বের জন্য মূলত তহবিলের অভাব, স্থানীয় নেতাদের রাজনৈতিক স্বার্থ, বিভিন্ন সরকারের অগ্রাধিকারে বদল, নির্মাণ কাজের জন্য গৃহহারাদের পুনর্বাসনে দেরি, আদালতের মামলার মতো বিষয়কে দায়ী করেছেন সরকারি কর্তারা।