Chandrayaan-3: হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করা হোক চাঁদকে, রাজধানী হোক শিবশক্তি, দাবি ধর্মগুরুর

All India Hindu Mahasabha: অল ইন্ডিয়া হিন্দু মহাসভার জাতীয় সভাপতি স্বামী চক্রপানি মহারাজ রবিবার ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানান যে অন্য় কোনও ধর্ম চাঁদের উপর মালিকানা ঘোষণা করার আগে যেন সরকার এই দাবি জানায়। সংসদে এই নিয়ে প্রস্তাবনা পাশেরও দাবি করেন তিনি।  

Chandrayaan-3: হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করা হোক চাঁদকে, রাজধানী হোক শিবশক্তি, দাবি ধর্মগুরুর
চাঁদকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার দাবি।Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 28, 2023 | 9:31 AM

নয়া দিল্লি: চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) চাঁদের মাটি ছোঁয়ায় গর্বিত দেশ। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নেতা-মন্ত্রী, অভিনেতা ও সমাজের বিশিষ্ট জনেরা সকলেই দেশের এই সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। সেখানেই আবার দেশের নানা প্রান্তের নেতা-মন্ত্রীরা চন্দ্রযান নিয়ে অদ্ভুতুড়ে নানা কথাও বলেছেন। কেউ চন্দ্রযান-৩ এর ‘যাত্রীদের’ অভিনন্দন জানিয়েছেন, কেউ আবার বলেছেন, চন্দ্রদেবতার আশীর্বাদেই এই অভিযান সফল হয়েছে। এবার চাঁদকেই হিন্দু রাষ্ট্র (Hindu Rashtra) ঘোষণার দাবি জানালেন এক হিন্দু ধর্মগুরু। স্বামী চক্রপানি মহারাজ (Swami Chakrapani Maharaj) নামক ওই ধর্মগুরুর দাবি, চন্দ্রযান-৩ অবতরণ করার পর এবার চাঁদকে হিন্দু রাষ্ট্র বলে ঘোষণা করা হোক এবং যে স্থানে চন্দ্রযানের সফট ল্যান্ডিং হয়েছে, সেই জায়গাটিকে রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করা হোক।

অল ইন্ডিয়া হিন্দু মহাসভার জাতীয় সভাপতি স্বামী চক্রপানি মহারাজ রবিবার ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানান যে অন্য় কোনও ধর্ম চাঁদের উপর মালিকানা ঘোষণা করার আগে যেন সরকার এই দাবি জানায়। সংসদে এই নিয়ে প্রস্তাবনা পাশেরও দাবি করেন তিনি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ওই ভিডিয়োয় স্বামী চক্রপানি মহারাজ বলেন, “সংসদের তরফে চাঁদকে হিন্দু সনাতন রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করা হোক। যেখানে চন্দ্রযান-৩ অবতরণ করেছে, সেই শিবশক্তি পয়েন্টকে রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করা হোক, যাতে কোনও জিহাদি মানসিকতা সেখানে পৌঁছতে না পারে। ভারত সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ করা উচিত, যাতে কোনও জঙ্গি সেখানে পৌঁছতে না পারে।”

উল্লেখ্য, স্বামী চক্রপানি মহারাজ এই প্রথম আজগুবি মন্তব্য করেননি। এর আগে ২০২০ সালেও করোনা সংক্রমণের সময়ে তিনি গোমূত্র পার্টির আয়োজন করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, গো-মূত্র পান করলে করোনা সংক্রমণ হবে না। যারা হত্যা করেন এবং পশুদের খান, তাদের জন্যই করোনা ভাইরাস এসেছে, এমনটাই যুক্তি ছিল তাঁর। তার আগে ২০১৮ সালেও কেরলে ভয়াবহ বন্যার সময়ে তিনি বলেছিলেন, যারা গরু খান, তাদের কোনও সাহায্য করা উচিত নয়। তিনি ধর্ম সেন্সর বোর্ডও তৈরি করেছেন বলিউড সিনেমা, ওয়েবসিরিজ, মিউজিক ভিডিয়োর উপরে নজরদারি করতে।