লাভ হল না কড়া নেড়ে, কাকার দেখা না পেয়েই ফিরলেন চিরাগ

বাড়ির সামনে ৪৫ মিনিট দাঁড়িয়েও কাকার দেখাই পেলেন না প্রয়াত রামবিলাস পাসোয়ানের ছেলে।

লাভ হল না কড়া নেড়ে, কাকার দেখা না পেয়েই ফিরলেন চিরাগ
ছবি- পিটিআই
Follow Us:
| Updated on: Jun 15, 2021 | 10:59 AM

নয়া দিল্লি: ড্যামেজ রিপেয়ারিং হল না। কাকার কাছ থেকে কার্যত খালি হাতেই ফিরতে হল চিরাগ পাসোয়ানকে (Chirag Paswan)। এমনকি সূত্রের খবর, সমঝোতার পথে হেঁটে মায়ের হাতে পার্টির দায়িত্ব তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে গিয়েও কাকাকে সে কথা শোনাতেই পারলেন না চিরাগ। বাড়ির সামনে ৪৫ মিনিট দাঁড়িয়েও কাকার দেখাই পেলেন না প্রয়াত রামবিলাস পাসোয়ানের ছেলে।

লোকসভায় চিরাগ পাসোয়ানের দল এলজেপির মোট ৬ জন সাংসদ। এর মধ্যে ৫ জনই দলের নেতা হিসেবে চান চিরাগের কাকা পশুপতি কুমার পরসকে। তাঁরা ইতিমধ্যেই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখে তাঁদের ভিন্ন দল হিসেবে দেখতে আবেদন করেছেন। রামবিলাস পাসোয়ানের ছোট ভাইয়ের সঙ্গে চিরাগের আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক। একই দলে থাকলেও কাকা-ভাইপোর মধ্যে কথাবার্তা কার্যত বন্ধ ছিল এতদিন। যা কথা হত সব চিঠির মাধ্যমে। সূত্র অনুযায়ী, তলে তলে ইতিমধ্যেই নীতীশ কুমারের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন পশুপতি, মন্ত্রীসভায় তাঁকে জায়গা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।

এই জল্পনাকে আরও উসকে দিয়েছে পশুপতি পরসের মন্তব্য। খোদ তিনিই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর সমর্থন এনডিএ জোটে। এলজেপি পার্টিকে বাঁচাতেই ৫ সাংসদকে বুঝিয়ে চিড় সামলেছেন পশুপতি। এমনই দাবি তাঁর। গত বছর বিহার নির্বাচনের ঠিক আগে এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে এসে এককভাবে প্রার্থী দিয়েছিলেন চিরাগ পাসোয়ান। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তাঁর প্রতিশোধ নিল জেডিইউ। এমনটা মনে করেছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। জেডিইউ অবশ্য় সাফ জানিয়েছে,  এই ভাঙনে কোনও ভূমিকা নেই তাঁদের, বিজেপিও পাসোয়ানের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছে।

এতদিন লোকসভায় মোট ছ’জন সাংসদ ছিল এলজেপি-র। একসঙ্গে পাঁচজনই দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় লোকসভায় কার্যত প্রসঙ্গহীন হয়ে পড়বে লোক জনশক্তি পার্টি। এ দিকে, দলের ভিতরে এত বড় ভাঙন ধরার জন্য পারিবারিক বিবাদ ও চিরাগ পাসোয়ানের ঔদ্ধত্যকেই দায়ী করছেন দলীয় কর্মীরা। রাম বিলাস পাসোয়ানের মৃত্যুর ঠিক পরেই বিবাদের জেরে চিরাগ পাসোয়ান তাঁর কাকা পশুপতি কুমারকে দল থেকে বহিষ্কারের হুমকি দিয়েছিলেন। সেই সময়ই পশুপতিও সাফ বলেছিলেন, “আজ থেকে তোমার কাছে তোমার কাকা মৃত”। সেই তিক্ততা আরও বাড়ে নির্বাচনের সময়ও দলীয় কর্মীদের খোঁজখবর না নেওয়ায়।

দলীয় সূত্রে খবর, এই সঙ্কটের আঁচ আগেই করা হয়েছিল, কিন্তু তা পাত্তা দেননি চিরাগ। নির্বাচনের সময় গোটা রাজ্য ঘুরে সকল দলীয় কর্মীর সমস্যা শোনার প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচন মিটতেই দলীয় কর্মীদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন তিনি। বিধায়কদের দেখাদেখি এ বার কর্মীরাও দল ছাড়তে পারেন বলে আশঙ্কা।

আরও পড়ুন: এলজেপির ভাঙনে হাত নেই জেডিইউ-র! অবস্থান স্পষ্ট করছে না বিজেপি