Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

আর ঝুঁকি নয়, তড়িঘড়ি ১০ টি অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম কিনতে উদ্যোগী বায়ুসেনা

Indian Air Force: জম্মুতে পরপর ড্রোনের হানায় তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। পাক যোগসাজশ থাকতে পারে বলেই সন্দেহ তদন্তকারী সংস্থার।

আর ঝুঁকি নয়, তড়িঘড়ি ১০ টি অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম কিনতে উদ্যোগী বায়ুসেনা
ডিআরডিও-র তৈরি একটি অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম (ছবি- টুইটার থেকে প্রাপ্ত)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 06, 2021 | 2:56 PM

নয়া দিল্লি: হেলিকপ্টার বা এয়ারক্রাফট প্রতিরোধ করার ব্যবস্থা বায়ুসেনা হাতে থাকলেও বর্তমানে যে বিষয়টা ভারতকে ভাবাচ্ছে, তা হল ড্রোন। সম্প্রতি জম্মুতে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে যে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে গিয়েছে, তাতে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না ভারত। তাই তড়িঘড়ি বসানো হচ্ছে অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম। উড়ে আসা শত্রুপক্ষের ড্রোন চিহ্নিত করে ধ্বংস করাই হবে ওই যন্ত্রের কাজ। ড্রোনের মতো মানবহীন স্বয়ংক্রিয় মেশিনের মোকাবিলা করতে এই সরঞ্জাম চাইছে বায়ুসেনা।

বায়ুসেনা চাইছে, এই সিস্টেম যাতে লেজার রশ্মি পরিচালিত ‘এনার্জি ওয়েপন’ দিয়ে সজ্জিত থাকে। সোমবার কয়েকটি ভারতীয় সংস্থার কাছ থেকে এই সিস্টেম নিতে ‘রিকোয়েস্ট ফর ইনফরমেশন’ পাঠিয়েছে বায়ুসেনা। ওই যন্ত্রে যাতে শত্রু শিবিরের ড্রোন ধ্বংস হয় এবং আশেপাশের পরিবেশের ন্যূনতম ক্ষতি হয়, সে দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। পাঁচ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত ছোট ড্রোন শনাক্ত করার জন্য ৩৬০ ডিগ্রি কভারেজ পাওয়া যাবে, এমন রাডার থাকবে এই সিস্টেমে।

চলতি বছরের মধ্যেই এই সিস্টেমকেনার সব প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে চায় ভারত। যে ভেন্ডরের কাছ থেকে নেওয়া হবে, তাদের জানাতে হবে কবে দেওয়া হবে ওই সিস্টেম। এ বছরেই সব চুক্তি সেরে যত দ্রুত সম্ভব সিস্টেম বসাতে চায় এয়ার ফোর্স। অন্যদিকে ডিআরডিও-র সঙ্গে অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম নিয়েও কাজ করছে এয়ার ফোর্স। ডিআরডিও আগেই এই সিস্টেম তৈরি করেছে, যার রেঞ্জ ২ কিলোমিটার, রয়েছে ২ কিলোওয়াটের রেজার। তবে এখনও বেশি পরিমাণে এই অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম তৈরি করেনি ডিআরডিও।

আরও পড়ুন: তালতলার ওসিকে ফোন করে এমন পদের কর্তা বলে পরিচয় দিয়েছিলেন সনাতন তা আদতে নেই-ই! তখনই রুজু মামলা

দিনকয়েক আগে ভোররাতে জম্মু বিমানবন্দরে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে ড্রোনের মাধ্যমেই পরপর দুটি হামলা চলে। সেই ঘটনায় পাক যোগসাজশ থাকতে পারে বলে সন্দেহ তদন্তকারী সংস্থার। লস্কর-ই-তৈবা বা জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীর দিকেও উঠেছে সন্দেহের তির। এর মধ্যে ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই কমিশন চত্বরেও একটি ড্রোনের দেখা মেলে। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত।