Uttarakhand Land Sinking: রেলের কাজে বিপত্তি! জোশীমঠের পর ফাটল রুদ্রপ্রয়াগ-কর্ণপ্রয়াগের বাড়িতেও, পুনর্বাসনের দাবি বাসিন্দাদের
Cracks in Rudraprayag-Karnaprayag: স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ রেললাইনের যে কাজ চলছে, তার কারণেই ফাটল ধরছে আশেপাশের এলাকার বাড়িগুলিতে।
জোশীমঠ: উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) ফের ফাটল আতঙ্ক। জোশীমঠের (Joshimath) পর এবার ফাটল ধরল উত্তরাখণ্ডের আরও দুটি জেলায়। নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে কর্ণপ্রয়াগ (Karnaprayag) ও রুদ্রপ্রয়াগে(Rudraprayag)। বদ্রীনাথ ধাম যাওয়ার পথে এই দুই জেলাতেও একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরেছে।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রেল প্রকল্পের কাজ চলার কারণেই ফাটল ধরছে আশেপাশের অঞ্চলে। ইতিমধ্যেই নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তরিত হতে শুরু করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারেরা।
উত্তরাখণ্ড সরকার সূত্রে জানা গিয়েছিল, চার ধামের অন্যতম বদ্রীনাথ যাওয়ার পথে জোশীমঠে ভূমিধস নেমেছে। শতাধিক বাড়িতে ধরেছে ফাটল। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে জোশীমঠের ৬৭৮টি বাড়িকে অসুরক্ষিত হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এই সমস্ত বাড়িতে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে জোশীমঠই একা নয়, উত্তরাখণ্ডের অন্যান্য জায়গাগুলিতেও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।
পরিবেশবিদরা জানিয়েছেন, জোশীমঠের মতো পরিস্থিতি হতে পারে উত্তরাখণ্ডের পৌরি, বাগেশ্বর, উত্তরকাশী, তেহরি গারওয়াল ও রুদ্রপ্রয়াগের। ইতিমধ্য়েই রুদ্রপ্রয়াগের মারোদা গ্রামের একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরেছে। চামোলি জেলার কর্ণপ্রয়াগেও বহুগুণা নগরে একাধিক বাড়ি অসুরক্ষিত হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ রেললাইনের যে কাজ চলছে, তার কারণেই ফাটল ধরছে আশেপাশের এলাকার বাড়িগুলিতে। তেহরি জেলার অটলি গ্রামের ভিতর থেকে রেললাইনের কাজ চলছে। পাহাড় কাটা শুরু করতেই গ্রামের একপ্রান্তে ভূমিধস নেমেছে, যার কারণে বেশ কিছু বাড়িতে ফাটল ধরেছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, গ্রামের অন্য প্রান্তে এখনও সুড়ঙ্গ তৈরির জন্য পাহাড়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে। এর জেরেও একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সিসমিক জ়োন ৫-র উপরেও অবস্থিত জোশীমঠ। ফলে এই অঞ্চল ভূমিকম্পপ্রবণ। সেখানেই ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে হোটেল, রেস্তোরাঁ। কেদারনাথ, বদ্রীনাথ যাত্রার ক্ষেত্রেও যেমন পুণ্যার্থীদের মাথা গোঁজার ঠাই হয়ে উঠেছে জোশীমঠ, তেমনই আউলিতে যারা স্কি করতে আসেন, তারাও জোশীমঠেই এসে ওঠেন। এমনিতেই বিগত এক দশকে ব্যাপক হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে জোশীমঠে, তার উপরে বিপুল পরিমাণ পর্যটকের ভিড়ে এই অঞ্চলের উপরে আরও চাপ বেড়েছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রকল্প ও নির্মাণকাজের জন্য় পাহাড়ে ডিনামাইট দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানোর কারণেও জোশীমঠে ফাটল ধরছে।