Crime News: এক হাতে বউয়ের কাটা মুন্ডু, অন্য হাতে রক্তমাখা কাটারি, স্বামীর উল্লাস দেখে থম মেরে গেল গ্রামবাসীরা
Murder Case: অভিযুক্ত অনিল পেশায় রাজমিস্ত্রি। আট বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়, দুই সন্তানও রয়েছে তাঁদের। তবে বিগত কয়েক বছর ধরেই স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকছিলেন। স্ত্রীর থেকে আলাদা থাকলেও, সর্বদাই কড়া নজর রাখতেন অনিল। তাঁর সন্দেহ ছিল, স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একাধিকবার ঝগড়া-ঝাটি, অশান্তিও হয়।
লখনউ: বাড়ি না থাকলেই ঘরে ঢোকে পরপুরুষ। মনে অনেকদিনই সন্দেহ ছিল। বউকে বারবার জিজ্ঞাসা করেও সদুত্তর মেলেনি কোনও। শেষে রাগের বশেই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন স্বামী। ঝগড়ার মাঝে এক কোপে স্ত্রীর ধড় ও মুণ্ড আলাদা করে দিলেন। এরপরও ক্ষান্ত হননি ওই ব্যক্তি। স্ত্রীর কাটা মুণ্ড হাতে নিয়েই ঘুরে বেড়ালেন গ্রামে। গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত গ্রামবাসীরা।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের বারাবানকিতে। বৃহস্পতিবার অনিল নামক এক ব্যক্তিকে স্ত্রীর কাটা মুণ্ড হাতে গ্রামে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। এরপরই গ্রামে আতঙ্ক ছড়ায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পরে পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে বুঝিয়ে শান্ত করেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উদ্ধার করা হয় স্ত্রীর ধড়। এরপরই খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ওই ব্যক্তিকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত অনিল পেশায় রাজমিস্ত্রি। আট বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়, দুই সন্তানও রয়েছে তাঁদের। তবে বিগত কয়েক বছর ধরেই স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকছিলেন। স্ত্রীর থেকে আলাদা থাকলেও, সর্বদাই কড়া নজর রাখতেন অনিল। তাঁর সন্দেহ ছিল, স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একাধিকবার ঝগড়া-ঝাটি, অশান্তিও হয়।
বৃহস্পতিবারও একই সন্দেহ নিয়ে স্ত্রীর উপর চড়াও হয় অনিল। বচসার মাঝেই হঠাৎ কাটারি নিয়ে স্ত্রীর গলায় কোপ বসিয়ে দেন। ধড় থেকে মুণ্ড আলাদা করে দেন। এরপরে স্ত্রীর ‘অজানা প্রেমিক’কে বার্তা দিতেই কাটারি ও কাটা মুণ্ড নিয়ে গ্রামে ঘুরে বেড়ান।
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহের বুধবার, সরস্বতী পুজোর দিন বাংলাতেও একই ঘটনা ঘটেছে। পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা গৌতম গুছাইত পারিবারিক অশান্তিতে স্ত্রীর মাথা কেটে ফেলেন এবং ওই কাটা মুণ্ড নিয়ে বাস স্টপে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তাঁর পরিবারের দাবি, ২০২১ সালে কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায় বাঘের খাঁচায় ঝাঁপ দিয়েছিলেন গৌতম, তারপর থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন তিনি।