Rajasthan: ভোটের আগেই রাজস্থানের মানচিত্রে বদল, ৩ নতুন জেলার ঘোষণা গেহলটের
Rajasthan new districts: অগস্ট মাসেই রাজস্থানে ১৯টি নতুন জেলা ও ৩টি নতুন বিভাগ তৈরি করা হয়েছিল। একমাস যেতে না যেতেই ফের আরও তিন জেলা গঠনের ঘোষণা গেহলট সরকারের।
জয়পুর: শিয়রে বিধানসভা নির্বাচন। তার ঠিক আগে, শুক্রবারই (৬ অক্টোবর), রাজস্থানে তিনটি নতুন জেলা গঠনের ঘোষণা করল অশোক গেহলট সরকার। নতুন তিনটি জেলা হল – মালপুরা, সুজানগঢ় এবং কুচামন সিটি। এদিন রাজস্থান মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের পর, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ হিন্দিতে একটি পোস্ট করেন গেহলট। তিনি লেখেন, “জনগণের চাহিদা এবং এক উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সুপারিশ অনুসারে, রাজস্থানে তিনটি নতুন জেলা তৈরি করা হবে – ১. মালপুরা ২. সুজানগঢ় 3. কুচামন সিটি। এখন রাজস্থানে ৫৩টি জেলা হল। ভবিষ্যতেও, উচ্চ-স্তরের কমিটির সুপারিশ অনুসারে সীমানা নির্ধারণের মতো সমস্যাগুলির সমাধান করা হবে।”
এই নিয়ে চলতি বছরে দ্বিতীয়বার রাজস্থানে নতুন জেলা ঘোষণা করল কংগ্রেস সরকার। অগস্ট মাসেই রাজস্থানে ১৯টি নতুন জেলা ও ৩টি নতুন বিভাগ তৈরি করা হয়েছিল। জয়পুর জেলাকে ভেঙে জয়পুর এবং জয়পুর গ্রামীণ এবং যোধপুর জেলাকে ভেঙে যোধপুর এবং যোধপুর গ্রামীণ জেলা তৈরি করা হয়েছিল। এছাড়া, আপুনগঢ়, বালোত্রা, বেওয়ার, দেগ, দিদওয়ানা-কুচামন, দুডু, গঙ্গাপুর সিটি, কেকরি, কোটপুতলি-বেহরোর, খয়েরথাল-তিজারা, নিম কা থানা, ফলোদি, স্লম্বার, সাঁচোর এবং শাহপুরা জেলা স্থান করা হয়েছিল। তার আগে রাজস্থানে মোট ৩৩টি জেলা এবং ১০টি বিভাগ ছিল। অগস্টের সীমানা পূনর্বিন্যাসের পর জেলা ও বিভাগের সংখ্যা হয়েছিল যথাক্রমে ৫০ ও ১৩। এদিন আরও তিনটি নতুন জেলা যুক্ত হওয়ায়, রাজ্যের জেলার সংখ্যা বেড়ে হল ৫৩।
চলতি বছরের শেষেই রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। নির্বাচনের সূচি ঠিক করতে আজই বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে হতে পারে ভোটগ্রহণ। ঠিক তার আগেই দুই ধাপে এই জেলা বৃদ্ধির পিছনে ভোট ব্যাঙ্কের অঙ্ক আছে বলে অনুমান রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। তবে, অশোক গেহলট সরকারের দাবি, এই জেলা বৃদ্ধি করা হল সাধারণ মানুষের সুবিধার্থেই। এর জন্য, গত বছর মার্চে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটিই রাজ্যের জেলার সংখ্যা বৃদ্ধির সুপারিশ করেছিল। এর ফলে, প্রশাসনিক কাঠামোর উন্নতি হবে। বিভিন্ন সরকারি কাজের জন্য সাধারণ মানুষকে জেলা সদরে যেতে হয়। এর আগে জেলাগুলির আকার বড় থাকায়, তাদের দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হত। এখন জেলার সংখ্যা বাড়িয়ে, জেলাগুলির আয়তম কমানোর ফলে, ওই দীর্ঘ যাত্রা থেকে মুক্তি পাবেন সাধরণ মানুষ।