দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভুলগুলি করা যাবে না! আসন্ন ঢেউয়ের প্রস্তুতিতে রাজ্যগুলিকে অর্থ সাহায্য কেন্দ্রের
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক আধিকারিক জানান, আগে থেকে সতর্ক না থাকায় করোনা মোকাবিলায় যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিল, অতীত থেকে সেই শিক্ষা নিয়েই কেন্দ্র ও রাজ্য একজোটে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নয়া দিল্লি: দেশে দৈনিক সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও একাধিক রাজ্যের উর্ধ্বমুখী সংক্রমণ নিয়ে চিন্তিত কেন্দ্রীয় সরকার। যেকোনও মুহূর্তে আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ (Third Wave of COVID-19)। তাই আগেভাগেই কেন্দ্রের তরফে কোভিড তহবিল থেকে দ্বিতীয় দফায় রাজ্যগুলিকে টাকা দেওয়া হল।
তৃতীয় ঢেউয়ের প্রস্তুতিতে শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে “ইন্ডিয়া কোভিড-১৯ এমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড হেলথ সিস্টেম প্রিপেয়ার্ডনেস প্যাকেজে” (India Covid-19 Emergency Response and Health System Preparedness Package)-র দ্বিতীয় কিস্তি দেওয়া হল। বিভিন্ন রাজ্যের গ্রামীণ ও জেলাস্তরে স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নতির জন্য় কেন্দ্রের তরফে এই টাকা দেওয়া হয়।
এই প্রকল্পের দ্বিতীয় দফা গত ২২ জুলাই থেকে শুরু করা হয়। বাজেটে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে যে ২৩ হাজার কোটি টাকা খরচের ঘোষণা করা হয়েছিল, তার মধ্যে ১৫ শতাংশ অর্থাৎ ১৮২৭.৮০ কোটি টাকা গত ২২ জুলাই রাজ্যগুলিকে পাঠানো হয়। এই তহবিলেরই দ্বিতীয় কিস্তিতে ৩৫ শতাংশ দেওয়া হয় শুক্রবার। সব মিলিয়ে রাজ্যগুলিকে ৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি অনুদান দেওয়া হল করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ অঞ্চলগুলিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও উন্নত করার কাজ করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক আধিকারিক জানান, আগে থেকে সতর্ক না থাকায় করোনা মোকাবিলায় যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিল, অতীত থেকে সেই শিক্ষা নিয়েই কেন্দ্র ও রাজ্য একজোটে প্রস্তুতি নিচ্ছে। রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রীর তালিকা এবং করোনা মোকাবিলার বিস্তারিত পরিকল্পনা কেন্দ্রের কাছে জমা দিতে। কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে তহবিল থেকে যে অর্থ সাহায্যও করা হচ্ছে, সেই তথ্যও সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে। এই প্রকল্প ৬০:৪০ আর্থিক সাহায্যে পরিচালিত হয়, অর্থাৎ কেন্দ্র ৬০ ভাগ ও রাজ্যের তরফে ৪০ ভাগ অর্থ খরচ করে যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হবে। উত্তর পূর্ ভারতের ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ খরচই করবে কেন্দ্র, মাত্র ১০ শতাংশ অর্থ খরচ করতে হবে রাজ্যগুলিকে।
প্রতিটি রাজ্যের তরফে স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত করতে কী কী প্রয়োজন, সেই তালিকা যাচাই করেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য অর্থ সাহায্যের পরিমাণ নির্ধারণ করেছেন। প্রকল্পের কাজ কতটা হচ্ছে, তা কেন্দ্র ও রাজ্য় যৌথভাবে নজরদারি চালাবে। তৃতীয় ঢেউ এলে রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের সমন্বয় যাতে বজায় থাকে, সেই বিষয়টিও বাদল অধিবেশনে উল্লেখ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আগামী ১৬ অগস্ট তিনি কেরলে যাবেন, সেখান থেকে অসমও যেতে পারেন তিনি।
দ্বিতীয় ঢেউয়ে অক্সিজেন ও শয্য়া সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছিল, আগামী ঢেউয়েও যাতে একই পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, তার জন্য কেন্দ্রের তরফে নতুনভাবে পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে, গ্রামীণ ও জেলাস্তরে। আরও পড়ুন: টুইটারকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে ভিডিয়ো পোস্ট করার পর খুলে দেওয়া হল রাহুলের অ্যাকাউন্ট