টুইটারকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে ভিডিয়ো পোস্ট করার পর খুলে দেওয়া হল রাহুলের অ্যাকাউন্ট
Rahul Gandhi: ধর্ষিতা নাবালিকার বাবা-মায়ের ছবি পোস্ট করার পরই রাহুলের টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হয়েছিল।
নয়া দিল্লি: এক সপ্তাহ পর খুলে দেওয়া হল রাহুল গান্ধীর টুইটার। দিল্লি ধর্ষণ-কাণ্ডের নির্যাতিতার বাবা-মায়ের ছবি পোস্ট করার অভিযোগে ব্লক করে দেওয়া হয়েছিল কংগ্রেস সাংসদের টুইটার আ্যাকাউন্ট। শুধু রাহুল নয়, একাধিক কংগ্রেস নেতার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আজ, শনিবার সেই হ্যান্ডেল খুলে দেওয়া হয়েছে। গতকালই টুইটারের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। টুইটারের বিরুদ্ধে বার্তা দিতে, নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিয়ো পোস্ট করেন তিনি। ‘টুইটার’জ ডেঙ্জারাস গেম’ নামে এই ভিডিয়ো পোস্ট করার পরই খুলে দেওয়া হয়েছে অ্যাকাউন্টের টুইটার।
কিছুদিন আগে দিল্লিতে ধর্ষিত নাবালিকার বাবা-মায়ের ছবি পোস্ট করে বিতর্কে পড়েন রাহুল গান্ধী। শিশু সুরক্ষা দফতরের তরফে নোটিস দেওয়া হয়েছিল টুইটারকে। এরপরই রাহুল গান্ধীর টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ওই ছবিটি মুছে ফেলা হয়, সেইসঙ্গে ব্লক করে দেওয়া হয় তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট। একা রাহুলই নন, রণদীপ সিং সূর্যেওয়ালা, অজয় মাকেন, সুস্মিতা দেব, মনিকাম ঠাকুর সহ একাধিক কংগ্রেস নেতার টুইটার অ্যাকাউন্টও অস্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এই ঘটনারই সমালোচনা করে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘যখন দেশের গণতন্ত্র বিপন্ন, বিপদের মুখে, সেই সময় টুইটারও পক্ষপাতদুষ্ট প্ল্যাটফর্ম হিসাবে প্রমাণিত হচ্ছে। তারা কেবল সরকার যা বলছে, তাই-ই শুনছে। আমাদের সংসদে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না, সংবাদ মাধ্যমকেও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। একমাত্র আশার অআলো ছিল টুইটার, যেখানে আমরা নিজেদের মতামত রাখতে পারতাম। কিন্তু টুইটারও পক্ষপাতদুষ্টই প্রমাণিত হল।’
কেন্দ্রের সঙ্গে টুইটারের সংঘাত চলছে বেশ কয়েকমাস ধরে। এমনিতেই কেন্দ্রের তথ্য প্রযুক্তি আইন অমান্য করে আইনী সুরক্ষা হারিয়েছে টুইটার। একাধিক পোস্ট ঘিরেও আইনি জটিলতায় সরিয়েছে এই মাইক্রো-ব্লগিং সাইট। রাহুলের ক্ষেত্রে তাই বিপত্তি বাড়ার আগেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ নেয় টুইটার।
এরই মধ্যে অপসারণ করা হয়েছে টুইটার ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মনীশ মাহেশ্বরীকে। মার্কিন সোশ্যাল সাইটের হেড অফিসে স্থানান্তর করা হয়েছে তাঁকে। ভারত সরকারের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে সংঘাতের পর রাহুল গান্ধীর আ্যাকাউন্ট ব্লক করায় চরমে ওঠে রাজনৈতিক সংঘাত। এরপরই ভারতীয় প্রধানকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে টুইটার। তাঁকে আমেরিকায় নতুন পদে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।সংস্থার অন্দরে এই সংক্রান্ত যে মেল এসেছে সেখানে বলা হয়েছে, ‘একজন ডিরেক্টরের বদলে ভারতের টুইটারের টিমকে চালাবে লিডারশিপ কাউন্সিলের সদস্যরা।’ আরও পড়ুন: ‘এই যন্ত্রণা ভোলার নয়’, ১৪ অগস্ট ‘দেশভাগের ভয়াবহতা স্মরণ দিবস’ হিসাবে পালনের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর