করোনা রুখতে গিয়ে এই ভুল করবেন না, বাড়তে পারে ক্যানসারের আশঙ্কা, সতর্কবাণী এইমস প্রধানের

রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরেও অনেক উপসর্গযুক্তরা সিটি স্ক্যান করাচ্ছেন। এইমসের ডিরেক্টর ডঃ রণদীপ গুলেরিয়ার মতে, এর ফলে বাড়ছে ভবিষ্যতে ক্যানসারের আশঙ্কা।

করোনা রুখতে গিয়ে এই ভুল করবেন না, বাড়তে পারে ক্যানসারের আশঙ্কা, সতর্কবাণী এইমস প্রধানের
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: May 04, 2021 | 6:15 PM

নয়া দিল্লি: দেশে করোনা (COVID) আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টাতেও সাড়ে ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনার কবলে পড়েছেন। তবে সমস্যা হচ্ছে করোনা শনাক্তকরণে। কারণ, করোনা কি না জানতে আরটিপিসিআরেই ভরসা ছিল চিকিৎসকদের। কিন্তু অনেকক্ষেত্রে আরটিপিসিআর পরীক্ষার ফলও অনেকক্ষেত্রে ‘ফলস নেগেটিভ’ আসছে। তাই সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে করোনা চিহ্নিতকরণের চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা। আর সেখানেই বাড়ছে বিপদ।

রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরেও অনেক উপসর্গযুক্তরা সিটি স্ক্যান করাচ্ছেন। এইমসের ডিরেক্টর ডঃ রণদীপ গুলেরিয়ার মতে, এর ফলে বাড়ছে ভবিষ্যতে ক্যানসারের আশঙ্কা। গুলেরিয়ার জানান, বারবার সিটি স্ক্যান করলে বৃদ্ধ বয়সে ক্যানসারের সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে। তাঁর পরামর্শ, সিটি স্ক্যান তখনই করা প্রয়োজন, যখন আপনার জ্বর আছে এবং আপনি হাসপাতালে ভর্তি। তবে গুলেরিয়ার মতে, সিটি স্ক্যানের আগে বুকের এক্স রে করতে হবে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে মানুষ বেশি আতঙ্কিত। তাই ভয়ে, সোশ্যাল মিডিয়ার গুজবে কান দিয়ে অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই সিটি স্ক্যান করাচ্ছেন। গুলেরিয়া বলেন, “একটি সিটি স্ক্যান ৩০০-৪০০ এক্স রে-র সমান। লাগাতার সিটি স্ক্যানে তরণদের বৃদ্ধ বয়সে বাড়তে পারে ক্যানসারের আশঙ্কা।” এর আগে রেমডেসিভিরের ব্যবহার নিয়ে সকলকে সতর্ক করেছিলেন এইমসের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি জানিয়েছিলেন, রেমডেসিভির কোনও ‘ম্যাজিক পিল’ নয়। যেহেতু কোনও অ্যান্টি ভাইরাল ড্রাগ এই মূহুর্তে নেই, তাই রেমডেসিভির ব্যবহার করতে হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি এ-ও জানিয়েছিলেন, অপ্রয়োজনে রেমডেসিভির নিলে শারীরিক সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।

এ বারও ফের মাঝারি উপসর্গযুক্তদের স্টেরয়েড না নেওয়ার পরামর্শ দিলেন ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া। উল্লেখ্য, বারবার করোনার বিষয়ে সতর্কবাণী দিয়ে গিয়েছে এইমস। কিন্তু দেশে করোনা সংক্রমণ বাঁধ মানছে না। গত ২৪ ঘণ্টাতেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ২২৯ জন। স্রেফ ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে পরাজিত করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লক্ষ ২০ হাজার ২৮৯ জন। যার ফলে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ হাজার ৪৯১ বেড়ে এখন ৩৪ লক্ষ ৪৭ হাজার ১৩৩। এ পর্যন্ত দেশে করোনা জয় করেছেন ১ কোটি ৬৬ লক্ষ ১৩ হাজার ২৯২ জন। করোনায় মোট প্রাণ হারিয়েছেন ২ লক্ষ ২২ হাজার ৪০৮ জন।

আরও পড়ুন: রাজ্যে খুন-ধর্ষণের ঘটনা! সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বিজেপি