Rahul Gandhi: ‘আগে ছিল ইস্ট ইন্ডিয়া, এখন ৩-৪টে…’, ভারত জোড়ো যাত্রার সূচনা করে কী বললেন রাহুল?

Rahul Gandhi at Bharat Jodo Yatra launch: "আমাদের তেরঙ্গা পছন্দের যে কোনও ধর্ম পালনের অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়। কিন্তু আজ এই পতাকা আক্রমণের মুখে।" ভারত জোড়ো যাত্রার সূচনা করে বললেন, রাহুল গান্ধী।

Rahul Gandhi: 'আগে ছিল ইস্ট ইন্ডিয়া, এখন ৩-৪টে...', ভারত জোড়ো যাত্রার সূচনা করে কী বললেন রাহুল?
রাহুল গান্ধীর হাতে খাদিরতৈরি জাতীয় পতাকা তুলে দেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2022 | 11:40 PM

চেন্নাই: বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) কন্যাকুমারী থেকে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র সূচনার করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তারপর সেখানে আয়োজিক এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে বিজেপির তীব্র নিন্দা করেন রাহুল। কংগ্রেস নেতা দাবি করেন, কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের কারণে দেশে সর্বকালের সর্বোচ্চ বেকারত্বের হার দেখা যাচ্ছে। দেশ সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। রাহুল গান্ধী বলেন, “আজ ভারত সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখোমুখি। মুষ্টিমেয় বড় ব্যবসায়ী আজ পুরো দেশকে নিয়ন্ত্রণ করছে। আগে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ছিল যারা ভারতকে নিয়ন্ত্রণ করত। আজ সেখানে ৩-৪টি বড় সংস্থা রয়েছে যারা সমগ্র ভারতকে নিয়ন্ত্রণ করে। বিজেপি সরকার পরিকল্পিতভাবে কৃষক, শ্রমিক এবং ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের আক্রমণ করেছে।”

রাহুল আরও বলেন, “তারা (বিজেপি) মনে করে তারা সিবিআই, ইডি এবং আইটি ব্যবহার করে বিরোধীদের ভয় দেখাতে পারে। সমস্যা হল তারা ভারতীয় জনগণকে বোঝে না। ভারতীয় জনগণ ভয় পায় না। একজন বিরোধী নেতাও বিজেপিকে ভয় পান না।” তেরঙ্গা পতাকার তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে রাহুল গান্ধী বলেন, “লক্ষ-কোটি মানুষ মনে করেন যে এমন পদক্ষেপ নেওয়া দরকার যা ভারতকে একত্রিত করে। তেরঙ্গা সহজে আসেনি, প্রতিটি ধর্ম ও ভাষার এটি ভারতীয় জনগণ অর্জন করেছিলেন। আমাদের তেরঙ্গা পছন্দের যে কোনও ধর্ম পালনের অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়। কিন্তু আজ এই পতাকা আক্রমণের মুখে।”

কংগ্রেসের দাবি, এই যাত্রাকে এক ‘নতুন শুরু’ এবং ‘ভারতীয় রাজনীতির এক মোড় ঘোরানো মুহূর্ত’। তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে বৃহস্পতিবার সকালে এই যাত্রা শুরু হবে। ১১৮ জন স্থায়ী সদস্য থাকবেন। ১২টি রাজ্যের মধ্য দিয়ে ৩,৭৫০ কিলোমিটারের বেশি রাস্তা হাঁটবেন তাঁরা। কন্যাকুমারী থেকে শুরু করে তিরুঅনন্তপুরম, কোচি, নীলাম্বুর, মাইসুরু, বেল্লারি, রাইচুর, ভিকারাবাদ, নান্দেদ, জলগাঁও, ইন্দোর, কোটা, দৌসা, আলওয়ার, বুলন্দশহর, দিল্লি হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হবে। আম্বালা, পাঠানকোট এবং জম্মু হয়ে ১৫০ দিন পর কাশ্মীরের শ্রীনগরে গিয়ে এই যাত্রা শেষ হওয়ার কথা।

এদিন রাহুল গান্ধীর হাতে একটি খাদির তৈরি তেরঙ্গা জাতীয় পতাকা তুলে দেন  তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন। পরে সেই ঘটনার ছবি শেয়ার করে টুইটারে ডিএমকে নেতা লেখেন, “আজ আমার ভাই রাহুল গান্ধী ভারতের আত্মা পুনরুদ্ধার করার জন্য, আমাদের প্রজাতন্ত্রের উচ্চ আদর্শকে সমুন্নত রাখতে এবং আমাদের দেশের মানুষকে ভালবাসায় একত্রে বাঁধতে একটি যাত্রা শুরু করেছে। ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করার জন্য কন্যাকুমারীর থেকে ভাল জায়গা আর হতে পারে না, যেখানে স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি রয়েছে।”

Rahul Gandhi

দেখুন কোন পথে হবে ভারত জোড়ো যাত্রা