‘রামের ভরসায় রয়েছে’, যোগীরাজ্যে ছোট শহর ও গ্রামের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে তুলোধনা এলাহাবাদ হাইকোর্টের

এলাহাবাদ হাইকোর্টের তরফে বলা হয়, "যদি মিরাটের মতো শহরের মেডিক্যাল কলেজে এইধরনের ঘটনা ঘটে, তবে গ্রাম ও ছোট শহরগুলির গোটা স্বাস্থ্যব্যবস্থা রামের ভরসায় রয়েছে।"

'রামের ভরসায় রয়েছে', যোগীরাজ্যে ছোট শহর ও গ্রামের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে তুলোধনা এলাহাবাদ হাইকোর্টের
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: May 18, 2021 | 8:15 AM

এলাহাবাদ: সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে আগেই যোগীরাজ্যের তুলোধনা করেছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এ বার রাজ্যের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলির অবস্থা নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে সোমবার আদালতের তরফে বলা হল,”উত্তর প্রদেশের ছোট শহর ও গ্রামগুলির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ঈশ্বরের ভরসায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”

মিরাট হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকাকালীনই সন্তোষ কুমার(৬৪) নামক এক ব্যক্তির মৃত্যুর প্রসঙ্গে সোমবার এলাহাবাদ হাইকোর্টে বিচারপতি সিদ্ধার্থ ভর্মা ও অজিত কুমার এই পর্যবেক্ষণ রাখেন। জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত সন্দেহে মিরাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই ব্যক্তিকে। গত ২২ এপ্রিল তিনি হাসপাতালের শৌচালয়েই সংজ্ঞা হারান। চিকিৎসকেরা চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচাতে পারেননি।

এ দিকে, হাসপাতাল কর্মীরা রোগীকে চিহ্নিত করে না পেরে এবং তাঁর ফাইল খুঁজে না পেয়ে “অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ” বলে তকমা দিয়ে প্ল্যাস্টিকের ব্যাগে মুড়িয়ে তাঁর দেহ সৎকার করে দেয়।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই সোমবার এলাহাবাদ হাইকোর্টের তরফে বলা হয়, “যদি মিরাটের মতো শহরের মেডিক্যাল কলেজে এইধরনের ঘটনা ঘটে, তবে গ্রাম ও ছোট শহরগুলির গোটা স্বাস্থ্যব্যবস্থা রামের ভরসায় রয়েছে। যদি চিকিৎসক ও প্যারামেডিক্যাল কর্মীরা এইধরনের আচরণ করেন এবং কর্তব্যে অবহেলা দেখান, তবে এটিকে সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে বলেই ধরা হবে। রাজ্যের উচিত এই ধরনের ঘটনার প্রেক্ষিতে কড়া পদক্ষেপ করা।”

পাঁচ জেলার জেলাশাসকের জমা দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে আদালতের তরফে জানানো হয়, ছোট শহরাঞ্চলে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নেই এবং গ্রামীণ অঞ্চলগুলিতে জীবনদায়ী চিকিৎসা সামগ্রীটুকুও মজুত নেই। টিকাকরণ প্রসঙ্গে আদালতের তরফে বলা হয়, “যে সমস্ত সংস্থাগুলি বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অর্থ দান করেন, তা টিকাকরণের জন্য দান করা উচিত”।

রাজ্য সরকারকে কড়া ধমক দিয়ে বলা হয়, “প্রতিটি হাসপাতাল বা নার্সিং হোমে যেখানে ২০টির বেশি শয্যা রয়েছে, সেখানে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ বেডই ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের জন্য বরাদ্দ করা উচিত। ৩০টির বেশি শয্যাযুক্ত হাসপাতাল ও নার্সিহোমগুলির ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে অক্সিজেন প্রস্তুতকারক প্ল্যান্ট থাকতেই হবে। উত্তর প্রদেশের দ্বিতীয় ও ত্রীস্তরীয় শহরগুলির ক্ষেত্রে কমপক্ষে ২০টি অ্যাম্বুলেন্স ও প্রতিটি গ্রামে কমপক্ষে ২০টি অ্যাম্বুলেন্স দিতেই হবে।” আগামী ২২ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

আরও পড়ুন: ওষুধ কিনতে গিয়ে অপহৃত ও খুন জিম প্রশিক্ষক, পুলিশের উপর পাথর ছুড়ল ক্ষিপ্ত জনতা, লাঠিচার্জ হরিয়ানা পুলিশের