ওষুধ কিনতে গিয়ে অপহৃত ও খুন জিম প্রশিক্ষক, পুলিশের উপর পাথর ছুড়ল ক্ষিপ্ত জনতা, লাঠিচার্জ হরিয়ানা পুলিশের
রবিবার ওই যুবক তাঁর দুই আত্মীয়ের সঙ্গে ওষুধ কিনতে বের হয়। সেই সময়ই একাধিক ব্যক্তি তাঁদের উপর চড়াও হয় এবং মারধর করতে শুরু করে। অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় ওই জিম প্রশিক্ষককে। কয়েক ঘণ্টা পর তাঁর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়।
চণ্ডীগঢ়: জিম প্রশিক্ষকের অপহরণ ও মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত হরিয়ানা। আসিফ হুসেন (২৭) নামক ওই প্রশিক্ষককে গ্রামেরই কয়েকজন অপহরণ করে বলে অভিযোগ। অপহরণের কয়েক ঘণ্টা পরেই তাঁর দেহ মেলে। এরপরই সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ বাধ্য হয়ে লাঠি চার্জ ও শূন্যে গুলি চালাতেও বাধ্য হয়। ওই যুবকের অন্তেষ্ট্যিতে যোগ দিতে আসা একাধিক ব্যক্তি পুলিশের উপর পাথর ছোড়ে।
জানা গিয়েছে, রবিবার নুহ জেলার খেদা খালিলপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবক তাঁর দুই আত্মীয়ের সঙ্গে ওষুধ কিনতে বের হয়। সেই সময়ই একাধিক ব্যক্তি তাঁদের উপর চড়াও হয় এবং মারধর করতে শুরু করে। অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় ওই জিম প্রশিক্ষককে। গ্রামে এ কথা জানাজানি হওয়ার পরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কয়েক ঘণ্টা বাদে হুসেনের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হলে উত্তেজনা চরমে ওঠে। মৃতের দেহের গুলি ছাড়াও বিভিন্ন অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন মিলেছে।
জেলার পুলিশ সুপার নরেন্দ্র সিং জানান, মূলত গ্রামের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকিরা পলাতক। তাঁদের খোঁজেও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। দুই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেই অস্ত্র আইনের অধীনে অভিযোগ আনা হয়েছে। আপাতত ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্তের জন্য একটি সিট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ দিকে, ওই যুবকের ময়নাতদন্তের পর শেষকৃত্য চলাকালীনও পুলিশের উপর পাথর ছোড়ে গ্রামবাসীরা। ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাতে প্রতিবাদ প্রদর্শন করে সাধারণ মানুষ কুন্ডলী-মানেসর-পালওয়াল এক্সপ্রেসওয়ে আটক করে রাখে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই তাদের উপর পাথর ছুড়তে থাকে ক্ষিপ্ত জনতা। তাদের সরাতে বাধ্য হয়ে পুলিশ লাঠি চার্জ এবং শূন্যে গুলি চালাতেও বাধ্য হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত একাধিক গাড়ির কাচও ভেঙে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: যমে-মানুষে লড়াই, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে উত্তাল সমুদ্র থেকে ৬০ জনকে বাঁচাল নৌ-সেনা