Hijab Ban Case: ধর্মীয় প্রতীক পরতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া ধর্মনিরপেক্ষতার বিরোধী: বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত
HIjab Controversy: অন্যদিকে বিচারপতি ধুলিয়া মনে করেন, হিজাব পরা বা না পরা একান্তই ব্যক্তিগত বিষয় এবং অনেক ক্ষেত্রের হিজাব না পরার কারণে প্রত্যন্ত এলাকায় স্কুল ছাত্রীদের সমস্যার মুখোমুখি পড়তে হতে পারে।
নয়া দিল্লি: “ধর্মনিরপেক্ষতা সব নাগরিকদের জন্যই প্রযোজ্য, সেই কারণে কোনও ধর্মীয় সম্প্রদায়কে তাদের ধর্মীয় প্রতীক পরতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া ধর্মনিরপেক্ষতার বিরোধী”, হিজাব মামলায় বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত নিজের পর্যবেক্ষণে এই কথাই জানিয়েছেন। বিচারপতি গুপ্তর পর্যবেক্ষণ, ধর্মনিরপেক্ষ স্কুলে হিজাব পরার অনুমতি দেওয়ার হলে তা সেখানকার অন্যান্য পড়ুয়াদের পরিপ্রেক্ষিতে সঠিক হবে না।
হিজাব মামলায় কর্নাটক হাইকোর্টের রায় নিয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছতে পারেনি সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া বেঞ্চ বৃহস্পতিবার ‘খণ্ডিত রায়’ দিয়েছে। বিচারপতি গুপ্তের রায়ের সঙ্গে একমত হননি বিচারপতি ধুলিয়া। কর্নাটক আদালতের রায়ে বলা হয়েছিল, হিজাব পরাকে কোনও ধর্মীয় আচরণের অপরিহার্য অঙ্গ হিসেবে দেখা ঠিক নয়। আজকের এই রায়ের ফলে হিজাব মামলা উচ্চতর বেঞ্চে শুনানি হবে।
আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে এদিন বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করে বিচারপতি গুপ্তা। বিচারপতি গুপ্তা জানতে চেয়েছিলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব না পরা নিয়ে রাজ্য সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা কোনওভাবে মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ কি না? বিচারপতি গুপ্তা জানতে চেয়েছিলেন, রাজ্য সরকার স্কুলগুলিতে কোনও পোশাক বিধি চালু করতে পারে কিনা? আবেদনকারীদের তরফেও এই প্রশ্নগুলির উত্তর দেওয়া হয়। আবেদনকারীদের থেকে জবাব পেয়ে বিচারপতি গুপ্তা কর্নাটক আদালতের দেওয়া রায়ই বহাল রাখে। অন্যদিকে বিচারপতি ধুলিয়া মনে করেন, হিজাব পরা বা না পরা একান্তই ব্যক্তিগত বিষয় এবং অনেক ক্ষেত্রের হিজাব না পরার কারণে প্রত্যন্ত এলাকায় স্কুল ছাত্রীদের সমস্যার মুখোমুখি পড়তে হতে পারে। হিজাব মামলা ৩ বিচারপতির উচ্চতর বেঞ্চে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে মামলার শুনানি হবে।
হিজাব নিয়ে বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে ফেব্রুয়ারি মাসে কর্নাটক সরকারের নির্দেশিকা ঘিরে বিতর্ক দেখা গিয়েছিল। কর্নাটক সরকার জানিয়েছিল, হিজাব পরা ইসলামের অপরিহার্য অঙ্গ নয়। আদালতে কর্নাটক সরকার জানিয়েছিল হিজাবের সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার কোনও সম্পর্ক নেই। কর্নাটক আদালত জানিয়েছিল, হিজাব পরার সঙ্গে মৌলিক অধিকারের কোনও যোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। উচ্চতর বেঞ্চ এখন এই মামলা নিয়ে কী রায় দেয়, সেটাই এখন দেখার।