Amul Milk Price Hike : মধ্যবিত্তের উপর খাঁড়ার ঘা, দাম বাড়ছে আমূল দুধের

Amul Milk Price Hike : ২ টাকা করে দাম বাড়ল আমূল দুধের। আজ প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই কথা জানানো হয়েছে। আগামিকাল থেকে এই দাম লাগু হবে।

Amul Milk Price Hike : মধ্যবিত্তের উপর খাঁড়ার ঘা, দাম বাড়ছে আমূল দুধের
ছবি সৌজন্যে : ANI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 28, 2022 | 11:41 PM

নয়া দিল্লি : রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের মাঝে ভোজ্য তেলের দাম বাড়ার সম্ভাবনা ছিল। ভারতে বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বাড়বে বলেও অনুমান করা হয়েছিল। তবে ভারতে দুধের দাম বাড়তে পারে তার কোনও আন্দাজই করতে পারেননি ভারতের নাগরিকরা। ভারতের শীর্ষস্থানীয় দুধের সরবরাহকারী আমূলের তরফে সোমবার জানানো হয়েছে আমূলের দুধের দাম ২ টাকা করে বাড়ানো হবে। ১ মার্চ থেকেই এই নতুন দাম ধার্য করা হবে। দেশের প্রিতিটি জায়গায় আমূলের দুধের এই দাম লাগু করা হবে। এই দাম বাড়ার পর আমূল গোল্ডের ৫০০ মিলির প্যাকেটের দাম হবে ৩০ টাকা। আমূল তাজা বা টোনড মিল্ক বিক্রি হবে ২৪ টাকায় এবং আমূল শক্তির দাম বেড়ে হবে ২৭ টাকা। বর্তমানে এক প্যাকেট আমূল গোল্ডের এক লিটারের দাম ৫৮ টাকা। আমূল তাজা বা টোনড মিল্ক বিক্রি হয় ৪৮ টাকা প্রতি লিটার।

গুজরাট কোঅপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডেরেশন (GCMMF) সোমবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই দাম বাড়ানোর কথা জানিয়েছে। গুজরাট কোঅপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডেরেশন আমূলের বিভিন্ন প্রোডাক্ট বাজারজাত করে। সেই সংস্থার তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, “গুজরাটের আহমেদাবাদ এবং সৌরাষ্ট্র বাজারে আমূল গোল্ড দুধের দাম হবে ৩০ টাকা প্রতি ৫০০মিলি, আমূল তাজার দাম হবে ২৪ প্রতি ৫০০ মিলি এবং আমূল শক্তি হবে ২৭ টাকা প্রতি ৫০০ মিলি।” আহমেদাবাদ, দিল্লি-এনসিআর, কলকাতা এবং মুম্বই মেট্রো শহরের বাজারগুলিতে ফুল ক্রিম মিল্ক ৬০ টাকা প্রতি লিটারে পাওয়া যাবে। টোনড মিল্কের দাম আহমেদাবাদে হবে ৪৮ টাকা প্রতি লিটার, দিল্লি এনসিআর, মুম্বই এবং কলকাতায় ৫০ টাকা প্রতি লিটার।

ফেডেরেশনের তরফে জানানো হয়েছে গত দুই বছরে আমূল ফ্রেশ মিল্কের দাম মাত্র ৪ শতাংশ বাড়িয়েছে। ফেডারেশনের তরফে বলা হয়েছে, “শক্তি, প্যাকেজিং, লজিস্টিকস, গবাদি পশুদের খাওয়ানোর খরচে বৃদ্ধি হয়েছে। তাই সামগ্রিকভাবে দুধের উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াকরণের খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই দুধের দামও বেড়েছে।” সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে, ইনপুটের খরচ বৃদ্ধির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমাদের সদস্যদের সংগঠন কৃষকদের দেওয়া মূল্যও বৃদ্ধি করেছে। প্রতি কেজি ফ্যাটে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা করে মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এই বৃদ্ধি ৫ শতাংশ বেশি।”

প্রসঙ্গত, দুধ এবং দুগ্ধজাত প্রোডাক্টের জন্য একটি কাস্টোমার একটি প্রোডাক্টের জন্য যে টাকা দেয় সেখান থেকে ৮০ পয়সা দুধ উৎপাদকের দেয় আমূল। ফেডেরেশনের তরফে জানানো হয়েছে, “দুধের দামবৃদ্ধির ফলে দুধের উৎপাদকদের আরও সাহায্য করবে। এবং তাঁদের আরও দুধ উৎপাদনে উৎসাহিত করবে।” আমূল ভারতের অন্য়তম বড় দুধ বিক্রয়কারী সংস্থা। সমাজের সব শ্রেণির মানুষই দুধের উপর নির্ভরশীল। শিশু থেকে বৃদ্ধ এবং অসুস্থ মানুষ দুধের উপর বেশি নির্ভর করে থাকে। ইতমধ্যেই কোভিড পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্তের পকেটের অবস্থা খারাপ। সেখানে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বৃদ্ধিতে নাজেহাল অবস্থা তাঁদের। এমতাবস্থায় দুধের দামবৃদ্ধি সম্ভবত প্রভাব ফেলবে মধ্যবিত্তের দৈনন্দিন জীবনে।

আরও পড়ুন : DGCA Directives : আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবায় বহাল থাকল নিষেধাজ্ঞা