India-China Relation: পূর্ব লাদাখে বেড়েছে লালফৌজের সংখ্যা! বিদেশমন্ত্রকের দাবিকেই সমর্থন সেনাপ্রধানের

India-China Relation: শুক্রবারই সেনা প্রধান নারাভানে পূর্ব লাদাখে সেনা প্রস্তুতি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যের খতিয়ান নেন। পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন অংশে গিয়ে তিনি জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেন।

India-China Relation: পূর্ব লাদাখে বেড়েছে লালফৌজের সংখ্যা! বিদেশমন্ত্রকের দাবিকেই সমর্থন সেনাপ্রধানের
ফের লাদাখে গতিবিধি বাড়াচ্ছে লাল ফৌজ। ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 02, 2021 | 2:12 PM

নয়া দিল্লি: ২০২০ সালের মে মাসে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (Line of Actual Control) ঘিরে সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে। দীর্ঘ দেড় বছরেরও বেশি সময় কেটে গেলেও এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। আগামী সপ্তাহেই চিনের সঙ্গে ১৩ দফার সেনাস্তরীয় বৈঠকে বসতে চলেছে ভারত, এমনটাই জানালেন সেনা প্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে (M M Naravane)।  একইসঙ্গে তিনি জানালেন, সীমান্তে ফের একবার সেনা মোতায়েন (Army Deployment) বাড়িয়েছে চিন (China)।

পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে একদিন আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিদেশমন্ত্রক। সীমান্ত সমস্যা নিয়ে বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রক(Ministry of External Affairs)-র তরফে বলা হয়েছিল, “চিনের উসকানিমূলক স্বভাবের জন্যই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা জুড়ে শান্তি ও সহাবস্থান বিঘ্নিত হচ্ছে।”

এবার সেনা প্রধান নারাভানেও একপ্রকার সেই মন্তব্যে সম্মতি জানিয়েই বললেন, সীমান্তে ফের একবার সেনার সংখ্যা বাড়িয়েছে চিনা সরকার। তিনি বলেন, “পূর্ব লাদাখ জুড়েই সেনা মোতায়েনের পরিমাণ বাড়িয়েছে চিন। ভারতের ইস্টার্ন কম্যান্ড অবধি সেই সেনা মোতায়েন রয়েছে। আচমকা ফের ফৌজ বাড়ানো অবশ্যই চিন্তার কারণ।”

তবে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, “আমরা গোটা পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছি। আমরা যে তথ্য পাচ্ছি, তার উপরই ভিত্তি করে আমরাও সেনা পরিকাঠামোয় বদল আনছি। বর্তমানে আমরী যথেষ্ট প্রস্তুত রয়েছি। যে কোনও পরিস্থিতির সঙ্গেই আমরা লড়াই করতে প্রস্তুত।”

তবে গত বছর গালওয়ান ও প্য়াংগং হ্রদের ধারে সংঘর্ষে যেভাবে ভারতীয় সেনার হাতে মার খেয়েছিল লাল ফৌজ, তারপরও তারা কোনও রকম আগ্রাসী রূপ ধরবে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান সেনা প্রধান। আগামী সপ্তাহে বৈঠকে সেনা প্রত্য়াহার নিয়ে ইতিবাচক কোনও সমাধানসূত্র মিলবে বলেই আশাবাদী তিনি।

সেনা প্রধান নারাভানে বলেন, “আশা করছি পরবর্তী বৈঠকেই আলোচনার মাধ্যমে সমস্ত সংঘর্ষস্থলগুলি থেকে সেনা প্রত্য়াহারের সিদ্ধান্তে সহমত হওয়া যাবে। আমি বিশ্বাস করি আলোচনার মাধ্যমেই সমল্য়য়ার সমাধান সম্ভব। আশা করছি অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে দুই দেশের মধ্যে যে বৈঠক রয়েছে, তাতে আলোচনার মাধ্যমে কোনও সমাধান সূত্র পাওয়া যাবে এবং পরবর্তী ধাপে সেনা প্রত্যাহারের কাজ শুরু হবে।”

শুক্রবারই সেনা প্রধান নারাভানে পূর্ব লাদাখে সেনা প্রস্তুতি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যের খতিয়ান নেন। পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন অংশে গিয়ে তিনি জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেন। বর্তমান পরিস্থিতি কী এবং কীধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে ভারতীয় সেনার তরফে, সে সম্পর্কে তাকে বিস্তারিতভাবে জানানো হয়।

গত বছরের মে মাসে পূর্ব লাদাখের প্যাংগং হ্রদের কাছে ভারত ও চিনা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের মাধম্য়েই অশান্তির সূত্রপাত হয়। এরপর থেকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে চিন। শুরু হয় দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ। জুন মাসে গালওয়ান উপত্যকায় তা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের (Galwan Clash) আকার নেয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ২০ জওয়ানের মৃত্যু হয়। চিনের তরফে প্রথমে অস্বীকার করা হলেও পরে মেনে নেওয়া হয় যে ওই সংঘর্ষে তারাও বহু সৈন্য হারিয়েছিল।

সংঘর্ষের পরই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা জুড়ে যে বিপুল সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল দুই দেশের তরফেই, তা সরাতে উদ্যোগী হয় দুই দেশই। একাধিক সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার পরই দুই পক্ষ সেনা প্রত্যাহারে রাজি হয়। প্যাংগং থেকে সেনা সরলেও এখনও পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন সংঘর্ষস্থলে সেনা প্রত্যাহার এখনও বাকি।

আরও পড়ুন: Covishield: ‘আমি তো কোভিশিল্ড নিয়েই বেঁচেবর্তে আছি,’ মন্তব্য রাষ্ট্রসংঘের সভাপতি আবদুল্লা শহিদের