Asaram: আরও এক শিষ্যাকে ধর্ষণের অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, গারদের অন্ধকারে ডুবল আশারাম

Asaram Bapu Sentenced to Life Imprisonment: ২০১৩ সালের এক ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হল স্বঘোষিত ধর্মগুরু আশারামকে। এর আগেই আরও এক ধর্ষণ মালায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছিল সে।

Asaram: আরও এক শিষ্যাকে ধর্ষণের অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, গারদের অন্ধকারে ডুবল আশারাম
আরও এক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড স্বঘোষিত ধর্মগুরু আশারামের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 31, 2023 | 5:41 PM

আহমেদাবাদ: মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি), ২০১৩ সালের এক ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হল স্বঘোষিত ধর্মগুরু আশারামকে। এদিন গান্ধীনগর দায়রা আদালতে আদালতে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আশারাম দাগী অপরাধী। তাই তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি মোটা টাকা জরিমানা করা উচিত। সোমবারই দায়রা আদালত এই মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। সুরাটের এক মহিলা ২০১৩ সালে অভিযোগ করেছিলেন, আমেদাবাদের মোতেরায় আশারামের আশ্রমে থাকাকালীন, স্বঘোষিত ধর্মগুরু তাকে অন্তত দুইবার ধর্ষণ করেছিল। এই মামলায় আশারামের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা-সহ আরও ৬ জনের নাম ছিল। আদালত তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছে। ইতিমধ্যেই আরও এক ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছে আশারাম।

২০১৩ সালে উত্তর প্রদেশের শাহজাহানপুরের এক ১৬ বছরের নাবালিকা প্রথম এই স্বঘোষিত ধর্মগুরুর বিরুদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ করেছিল। রাজস্থানের যোধপুরের কাছে মানাই গ্রামে অবস্থিত আশ্রমে তাকে ধর্ষণ করেছিল বাবাজি, এমনটাই দাবি করেছিল ওই নাবালিকা। এরপরই যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আশারামকে। অবৈধভাবে আটকে রাখা, ধর্ষণ, অপরাধমূলক হুমকি, মহিলাদের সম্ভ্রম নষ্ট-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় এবং পকসো আইনের উপযুক্ত ধারায় মামলা দায়ের করা হয় তার বিরুদ্ধে।

আশারাম কারাবন্দি থাকাকালীন, তার মামলার একাধিক সঙ্গীর উপর হামলা হয়। অনেকে নিরুদ্দেশও হয়ে গিয়েছিল। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসককে গুলি করা হয়েছিল। তিনি বেঁচে গেলেও, রাঁধুনিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। ২০১৫ সালে তো যোধপুর আদালত চত্বরেই মামলার আরও দুই সাক্ষীকে গুলি করা হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে আশারাম কারাবন্দি থাকাকালীনই, সুরাট থেকে তার আরেক শিষ্যা তার বিরুদ্ধে জোর করে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ জানান। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে তাঁকে আশ্রমে আটকে রাখা হয়েছিল। আশারামের ছেলে নারায়ণ সাইও তাঁকে নিয়মিত ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই মহিলা।