Assam-Arunachal: ৫১ বছরের সীমান্ত বিরোধের অবসান, শাহের উপস্থিতিতে ঐতিহাসিক চুক্তি অসম-অরুণাচলের

Assam-Arunachal MOU: ৫১ বছর ধরে চলা সীমান্ত বিরোধের অবসান ঘটাতে চুক্তি স্বাক্ষর করল অসম এবং অরুণাচল প্রদেশ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা এবং অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্দু।

Assam-Arunachal: ৫১ বছরের সীমান্ত বিরোধের অবসান, শাহের উপস্থিতিতে ঐতিহাসিক চুক্তি অসম-অরুণাচলের
চুক্তি স্বাক্ষরের পর অমিত শাহর সঙ্গে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং পেমা খান্ডু
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 21, 2023 | 7:03 PM

গুয়াহাটি: ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ৫১ বছর ধরে চলা সীমান্ত বিরোধের অবসান ঘটাতে চুক্তি স্বাক্ষর করল অসম এবং অরুণাচল প্রদেশ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা এবং অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্দু। অসম এবং অরুণাচল প্রদেশের মধ্যে ৮০৪.১-কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ১৯৭২ সালে অরুণাচল প্রদেশ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ার পর থেকেই এই সীমান্ত নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। ১৯৮৭-তে রাজ্যের মর্যাদা লাভ করে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটি। তাতেও বিতর্ক থামেনি। আর এই বিতর্কের মূলে রয়েছে ১২৩টি সীমান্তর্তী গ্রাম। অরুণাচল প্রদেশ বরাবর বলে এসেছে, সমতলের এই গ্রামগুলির ঐতিহ্যগতভাবে পাহাড়ি উপজাতি অধ্যুষিত। এই গ্রামগুলিকে একতরফাভাবে অসমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক চুক্তিটির ফলে এই গ্রামগুলির কোনটি কোন রাজ্যের, এই বিষয়ে স্পষ্টত এল।

এই বিতর্কিত ১২৩টি গ্রামের মধ্যে ৭১টি গ্রাম নিয়ে আর কোনও সমস্যা নেই। ২০২২-এর ১৫ জুলাই নামসাই ঘোষণার মাধ্যমে ২৭টি গ্রাম নিয়ে সমস্যা মিটে গেল। আর সাম্প্রতিক সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে সমাধান করা হল আরও ৩৪টি গ্রামের। এই ৭১টি গ্রামের মধ্যে, একটি গ্রাম অরুণাচল প্রদেশ থেকে অসমের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ১০টি গ্রাম থাকবে অসমেই। আর বাকি ৬০টি গ্রাম অসম থেকে অরুণাচল প্রদেশে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বাকি থাকা ৫২টি গ্রামের মধ্যে, ৪৯টি গ্রামের গ্রামের সীমানা আগামী ছয় মাসের মধ্যে আঞ্চলিক কমিটিগুলি চূড়ান্ত করবে। বাকি তিনটি গ্রাম রয়েছে ভারতীয় বায়ু সেনার বম্বিং রেঞ্জের মধ্যে। তাই এই তিনটি গ্রামের ক্ষেত্রে পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুই রাজ্যের সরকারই এই ১২৩টি বিতর্কিত গ্রামের বিষয়ে সাম্প্রতিক চুক্তিটিই চূড়ান্ত বলে মেনে নিয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, ভবিষ্যতে আর কোনও এলাকা বা গ্রাম নিয়ে কোও রাজ্যই নতুন করে দাবি তুলবে না। দুই রাজ্যের সীমানা নির্ধারণের জন্য পরবর্তীকালে দুই সরকারের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সার্ভে অব ইন্ডিয়া একটি বিশদ সমীক্ষা করবে।

এই চুক্তি স্বাক্ষর অসম এবং অরুণাচল প্রদেশ – দুই রাজ্যের জন্যই একটি ঐতিহাসিক ঘটনা বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে তিনি বলেছেন, “এটি সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য একটি বড় মুহূর্ত। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই উন্নয়নের সাক্ষী হয়েছে এই অঞ্চল।” অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার মতে, “এটি উত্তর-পূর্বে বন্ধুত্বের চেতনাকে বাড়িয়ে তুলবে এবং আমাদের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে শক্তিশালী করবে। কারণ, এটি রাজ্যগুলির মধ্যে ভেদাভেদের সমাধানের একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।” অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু ৫১ বঠরের সীমান্ত বিরোধের নিষ্পত্তিকে ‘গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক’ বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “এটি দুই রাজ্যেই শান্তি ও উন্নয়নে বড় পরিবর্তন আনবে, এই বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।”