Bizarre Case: সৎকারের কয়েক মিনিট আগে কেঁদে উঠল ‘মৃত’ নবজাতক, গাফিলতির অভিযোগ হাসপাতালের বিরুদ্ধে
সৎকারের কয়েক মুহূর্তে আগেই নবজাতককে বেঁচে থাকতে দেখে চমকে যান রতন ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। এ বিষয়ে রতন বলেছেন, “শিলচর শ্মশানে পৌঁছনোর পর প্যাকেট খুলি। তখন আমার বাচ্চা কেঁদে ওঠে। তখন আমরা দৌড়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই এখন চিকিৎসা চলছে।”
শিলচর: বেসরকারি হাসপাতালে নির্দিষ্টি সময়ের আগেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেন এক অন্তঃসত্ত্বা। মহিলা। কিন্তুপ জন্মের পর দিন নবজাতককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও নবজাতকের দেহ দিয়ে দেওয়া হয় পরিবারের লোকেদের। তাঁরা ওই নবজাতকের দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু দেহ সৎকারের আগেই ঘটেছে অদ্ভুত ঘটনা। সৎকারের আগে পরিবারের লোকেরা দেখেন, নবজাতক তখনও বেঁচে রয়েছেন। বুধবার সকালে এই ঘটনা ঘটেছে অসমের শিলচরে। এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই বেসরসারি হাসপাতালে। নবজাতকের পরিবারের লোকেরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই সঙ্গে হাসপাতালের সামনেও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা।
নবজাতকের বাবার নাম রতন দাস। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। কিন্তু শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়েছিল তাঁর স্ত্রীর। সে জন্য চিকিৎসকরা জানিয়েছিল মা ও বাচ্চা দুজনকে বাঁচানো সম্ভব নয়। এ বিষয়ে রতন দাস বলেছেন, “মঙ্গলবার বিকালে আমার ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছিলাম শিলচরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তখন চিকিৎসক জানিয়েছিলেন গর্ভাধারণে কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছে। মা ও বাচ্চার মধ্যে এক জনকেই তাঁরা বাচাতে পারবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো আমরা অস্ত্রোপচারে রাজি হয়। তখন আমার স্ত্রী নবজাতকের জন্ম দেয়। বুধবার সকালে আমাদের হাতে নবজাতকের দেহ তুলে দেওয়া হয়।”
হাসপাতাল থেকে প্লাস্টিকে মোড়া নবজাতের দেহ নিয়ে সৎকার করতে উদ্যত হন রতন ও তাঁর পরিবারের অন্যান্যরা। সৎকারের কয়েক মুহূর্তে আগেই নবজাতককে বেঁচে থাকতে দেখে চমকে যান রতন ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। এ বিষয়ে রতন বলেছেন, “শিলচর শ্মশানে পৌঁছনোর পর প্যাকেট খুলি। তখন আমার বাচ্চা কেঁদে ওঠে। তখন আমরা দৌড়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই এখন চিকিৎসা চলছে।”
এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই শিলচরের ওই হাসপাতালের সামনে প্রচুর মানুষ জড়ো হন। তাঁরা ঘটনা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে থানায় এফআইএরও দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মৃত ঘোষণার আগে তাঁরা আট ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিলেন। ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে হাসপাতালের তরফে।