Building Collapse Update: বহুতল ভেঙে মৃত ৭, চাপা গোঙানি শুনেই রাতভর চলল তল্লাশি, ভোরে যা মিলল…
Surat Building Collapse: ভারী বৃষ্টির জেরেই শনিবার সচিন পালি গ্রামের একটি ছয়তলা বাড়ি ভেঙে পড়ে। ওই বহুতলে মোট ৩০টি অ্যাপার্টমেন্ট ছিল। তবে এর মধ্যে মাত্র ৫টিতেই বসবাস করছিলেন বাসিন্দারা। দুপুরে হঠাৎই ভেঙে পড়ে বহুতলটি।
আহমেদাবাদ: বাড়ছে মৃত্য়ুমিছিল। সুরাটে ছয় তলা বিল্ডিং ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭-এ পৌঁছেছে। বহুতলের নীচে এখনও কয়েকজন আটকে রয়েছেন বলেই আশঙ্কা। শনিবার গুজরাটের সুরাটে একটি বহুতল ভেঙে পড়ে। রাতভর চলে উদ্ধারকাজ। ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে বের করা হয় সাতটি দেহ।
বিগত কয়েকদিন ধরেই লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে সুরাটে। ভারী বৃষ্টির জেরেই শনিবার সচিন পালি গ্রামের একটি ছয়তলা বাড়ি ভেঙে পড়ে। ওই বহুতলে মোট ৩০টি অ্যাপার্টমেন্ট ছিল। তবে এর মধ্যে মাত্র ৫টিতেই বসবাস করছিলেন বাসিন্দারা। দুপুরে হঠাৎই ভেঙে পড়ে বহুতলটি।
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও দমকল বাহিনী। পরে উদ্ধারকাজে সাহায্য করতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও ডাকা হয়। রাতভর চলে উদ্ধারকাজ। এ দিন সকালে চিফ ফায়ার অফিসার বসন্ত পারেক বলেন, “সারা রাত ধরে উদ্ধারকাজ চলেছে। এখনও পর্যন্ত সাতটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে। ভোর ছ’টা নাগাদ শেষ দেহটি উদ্ধার করা হয়। এখনও উদ্ধারকাজ জারি রয়েছে, তবে ধ্বংসস্তূপের নীচে আর কেউ চাপা পড়ে নেই বলেই অনুমান।”
শনিবার রাতে ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে এক মহিলাকে উদ্ধার করা হয়েছিল। গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ১৫ জনকে। এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ রাতভর সিমেন্টের স্ল্যাব কেটে বাসিন্দাদের উদ্ধার করেন।
সুরাটের পুলিশ কমিশনার অনুপম গেহলট বলেন, “২০১৭ সালে তৈরি হয়েছিল ফ্ল্যাটটি। দুর্ঘটনার সময় পাঁচটি ফ্ল্যাটে বাসিন্দা ছিল। মূলত শ্রমিকরাই থাকতেন। অনেকে নাইট শিফ্টে থাকায়, তাদের প্রাণ রক্ষা পায়। যখন উদ্ধারকারী দল এসে পৌঁছয়, তখন ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে ক্ষীণ চিৎকার শোনা যাচ্ছিল। সেই আওয়াজ শুনেই উদ্ধার করা হয় এক মহিলাকে।”