Delhi: কেজরীবাল মন্ত্রিসভায় দুই নতুন মুখ, অতীশির হাতে শিক্ষা; সৌরভ পেলেন স্বাস্থ্য
Atishi, Saurabh Bharadwaj take oath as ministers: অরবিন্দ কেজরীবাল মন্ত্রিসভায় দুই নতুন মুখ। অতীশির হাতে মণীশ সিসোদিয়ার শিক্ষা মন্ত্রক। সৌরভ ভরদ্বাজ পেলেন সত্যেন্দ্র জৈনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ), দিল্লির মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন আম আদমি পার্টির নেতা অতীশি এবং সৌরভ ভরদ্বাজ। সৌরভ ভরদ্বাজকে স্বাস্থ্য, নগরোন্নয়ন, জল ও শিল্প দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর অতীশি পেয়েছেন শিক্ষা, পিডব্লুডি, বিদ্যুৎ এবং পর্যটন বিভাগের দায়িত্ব। দিন কয়েক আগেই দিল্লির মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগে বিদ্ধ দুই আপ নেতা মণীশ সিসোদিয়া এবং সত্যেন্দ্র জৈন। দুজনেই বর্তমানে তিহার জেলে বন্দি আছেন। ফলে অরবিন্দ কেজরীবাল মন্ত্রিসভায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য হয়ে গিয়েছিল। এদিন অতীশি এবং সৌরভ ভরদ্বাজকে সেই দুই পদে উন্নীত করা হল। অতীশি এই প্রথমবার মন্ত্রী হলেন। সৌরভ ভরদ্বাজ অবশ্য এর আগে ২০১৩ সালে দিল্লিতে আপ সরকারের পরিবহণ মন্ত্রী হয়েছিলেন। মন্ত্রী না হলেও, এর আগে মনীশ সিসোদিয়ার অধীনে শিক্ষা বিভাগের উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে অতীশির।
মঙ্গলবারই দুই আপ বিধায়ককে দিল্লি মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের পরামর্শে অতীশি এবং সৌরভ ভরদ্বাজকে তাদের শপথ গ্রহণের দিন থেকে দিল্লি মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেছেন। আপ দলের জাতীয় মুখপাত্র সৌরভ ভরদ্বাজ বর্তমানে দিল্লি জল বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যানের পদে আছেন। কালকাজি বিধানসভার বিধায়ক অতীশিও আপের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক নেতা। ২০১৯ সালে পূর্ব দিল্লি কেন্দ্র থেকে লোকসভা নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। বিজেপির গৌতম গম্ভীরের কাছে পরাজিত হন।
২০২১ সালে জমি সংক্রান্ত দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। তারপর, তাঁর হাতে থাকা মন্ত্রক ও বিভাগগুলি মণীশ সিসোদিয়াকে হস্তান্তর করা হয়েছিল। কিন্তু, দিল্লি নয়া আবগারি নীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বেনিয়ম করার অভিযোগে গত রবিবার তাঁকেও গ্রেফতার করেছে সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন। আপের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড, সিসোদিয়ার হাতে দিল্লির ৩৩টি দফতরের মধ্যে ১৮টির দফতর ছিল। দুই জনের পদত্যাগের পর সিসোদিয়া এবং জৈনের কিছু কিছু পোর্টফোলিও দিল্লির পরিবহন মন্ত্রী কৈলাশ গেহলট এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাজকুমার আনন্দকে দেওয়া হয়েছিল।