WITT: ভারত-অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কেমন, WITT-র মঞ্চে জানাবেন টনি অ্যাবট
Tony Abbott: টনি অ্যাবট রাজনীতিতে আসার আগে সাংবাদিক ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ান সংবাদপত্রের সাংবাদিক ছিলেন তিনি। এছাড়া বিরোধী নেতা জন হিউসনের সিনিয়র উপদেষ্টাও ছিলেন তিনি। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি ও আইনে এবং অক্সফোর্ডের রোডস স্কলার হিসেবে রাজনীতি ও দর্শনে ডিগ্রি রয়েছে টনি অ্যাবটের। তিনি তিনটি বইও লিখেছেন এবং UK বোর্ড অফ ট্রেডের উপদেষ্টা ছিলেন।
নয়া দিল্লি: আজ, রবিবার থেকে নয়া দিল্লিতে শুরু হচ্ছে দেশের বৃহত্তম নিউজ নেটওয়ার্ক TV9 -এর বার্ষিক কনক্লেভ, ‘হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে’ (WITT)। ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনদিন ব্যাপী এই সামিট চলবে। সোমবার অর্থাৎ সামিটের দ্বিতীয় দিন এই সামিটে অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়া থাকবেন অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সহ দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবৃন্দ। মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবটও।
সামুদ্রিক উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন
সোমবার, ‘হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে’-এর গ্লোবাল সামিটের দ্বিতীয় দিনে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক সম্পর্ক নিয়ে একটি অধিবেশনের আয়োজন করা হয়েছে। যার নাম, ‘ফ্রম এশিয়া-প্যাসিফিক থেকে ইন্দো-প্যাসিফিক: রিফ্রেমিং রিজিওনাল রিলেশনস’। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট এই অধিবেশনে অংশ নেবেন। তিনি ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সামুদ্রিক উত্তেজনার বিষয়টিও উল্লেখ করতে পারেন তিনি।
প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে সফল রাজনীতিবিদদের একজন হলেন টনি অ্যাবট। তিনি দু-বছর অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর আমলে অ্যাবট সরকারের নামে বেশ কয়েকটি সাফল্য পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সেই সময় চিন, জাপান এবং কোরিয়ার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করতে সক্ষম হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া ব্যবসায় চোরাচালান রোধ করতেও সক্ষম হন তিনি। অ্যাবটের শাসনকালে ইরাকে আইএস-এর বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন অভিযানে দ্বিতীয় বৃহত্তম সৈন্য প্রেরণকারী হয়ে ওঠে অস্ট্রেলিয়া।
রাজনীতিতে আসার আগে সাংবাদিক ছিলেন
টনি অ্যাবট রাজনীতিতে আসার আগে সাংবাদিক ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ান সংবাদপত্রের সাংবাদিক ছিলেন তিনি। এছাড়া বিরোধী নেতা জন হিউসনের সিনিয়র উপদেষ্টাও ছিলেন তিনি। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি ও আইনে এবং অক্সফোর্ডের রোডস স্কলার হিসেবে রাজনীতি ও দর্শনে ডিগ্রি রয়েছে টনি অ্যাবটের। তিনি তিনটি বইও লিখেছেন এবং UK বোর্ড অফ ট্রেডের উপদেষ্টা ছিলেন।
সোমবার ‘হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে’ বৈশ্বিক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়ে মূলত বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়া লোকসভা নির্বাচন এবং তাঁর সরকারের কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি নিয়েও কথা বলবেন তিনি। এঁরা ছাড়া বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সহ প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ এবং মালদ্বীপের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী মারিয়া আহমেদ দিদি উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও সিনেমা জগতের আয়ুষ্মান খুরানা ও কঙ্গনা রানাওয়াত অংশ নেবেন সেদিনের সামিটে।