AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

INSACOG: তবে কি কোভিডের আরও এক তরঙ্গ? ভারতে এসে গিয়েছে ‘বিএ.৪’ এবং ‘বিএ.৫’, নিশ্চিত করল ‘ইনসাকগ’

Insacog: রবিবার, ভারতীয় সার্স-কোভ-২ জিনোমিক্স কনসোর্টিয়াম বা 'ইনসাকগ' (INSACOG), ভারতে নভেল করোনাভাইরাসের ওনিক্রন ভেরিয়েন্টের দুই সাবভেরিয়েন্ট 'বিএ.৪' (BA.4) এবং 'বিএ.৫' (BA.5)-এর উপস্থিতি নিশ্চিত করল।

INSACOG: তবে কি কোভিডের আরও এক তরঙ্গ? ভারতে এসে গিয়েছে 'বিএ.৪' এবং 'বিএ.৫', নিশ্চিত করল 'ইনসাকগ'
ভারতে বিএ.৪ এবং বিএ.৫ সাবভেরিয়েন্ট, নিশ্চিত করল ইনসকগ
| Edited By: | Updated on: May 22, 2022 | 10:26 PM
Share

নয়া দিল্লি: ভারতকে কি মোকাবিলা করতে হবে কোভিড-১৯ মহামারির আরও এক তরঙ্গের সঙ্গে? এখনই সেই কথা বলার মতো পরিস্থিতি না হলেও, রবিবার, ভারতীয় সার্স-কোভ-২ জিনোমিক্স কনসোর্টিয়াম বা ‘ইনসাকগ’ (INSACOG), ভারতে নভেল করোনাভাইরাসের ওনিক্রন ভেরিয়েন্টের দুই সাবভেরিয়েন্ট ‘বিএ.৪’ (BA.4) এবং ‘বিএ.৫’ (BA.5)-এর উপস্থিতি নিশ্চিত করল। ওমিক্রনের এই দুই সাবভেরিয়েন্টই দক্ষিণ আফ্রিকায় কোভিডের পঞ্চম তরঙ্গ ডেকে এনেছিল। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও এই দুই সাবভেরিয়েন্ট সনাক্ত করা হয়েছে।

এর আগেই ‘জিনোমিক সার্ভেলেন্স প্রোগ্রামের’ মাধ্যমে করোনাভাইরাসের ‘ওমিক্রন’ স্ট্রেনের বিএ.৪ সাবভেরিয়েন্ট-এর একটি কেস সনাক্ত করা হয়েছিল। সেটি ছিল হায়দরাবাদের ঘটনা। সেই সনাক্তকরণ নিয়ে অবশ্য বিজ্ঞানীরা পুরোপুরি নিশ্চিত ছিলেন না। এদিন, ‘ইনসাকগ’ জানিয়েছে, তামিলনাড়ুর এক ১৯ বছর বয়সী তরুণীর দেহে ‘বিএ.৪ সাবভেরিয়েন্ট’ পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া, হায়দরাবাদ বিমানবন্দরেও একজনের দেহে এই সাবভেরিয়েন্টের সনাক্ত করা হয়েছে। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসেছিলেন। তবে, ১৯ বছরের তরুণীর কোনও ভ্রমণের ইতিহাস ছিল না। তিনি করোনা টিকা সম্পূর্ণ ডোজও পেয়েছেন। তাঁর উপসর্গ অবশ্য খুবই হালকা ছিল।

কনসোর্টিয়াম আরও জানিয়েছে, তেলেঙ্গানার এক ৮০ বছর বয়সী পুরুষের দেহে পাওয়া গিয়েছে ‘ওমিক্রনের’ আরেক সাবভেরিয়েন্ট ‘বিএ.৫’। তিনিও টিকার সম্পূর্ণ ডোজ পেয়েছেন এবং তাঁরও গুরুতর কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি। তবে এই ক্ষেত্রেও রোগীর কোনও ভ্রমণের ইতিহাস না থাকায় আশঙ্কা করা হচ্ছে, ওমিক্রনের দুটি সাবভেরিয়েন্টই স্থানীয় স্তরে ছড়াতে শুরু করেছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে, ‘বিএ.৪’ এবং ‘বিএ.৫’ আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সন্ধান করা শুরু হয়েছে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ‘বিএ.৪ সাবভেরিয়েন্টের’ প্রথম সংক্রমণের ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছিল। বর্তমানে, সেই দেশের মোট করোনা সংক্রমণের ৩৫ শতাংশই ‘বিএ.৪ সাবভেরিয়েন্ট’। অন্যদিকে, ২৫ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকেই ‘বিএ.৫ ভেরিয়েন্টের’ প্রথম সংক্রমন সনাক্ত করা হয়েছিল। বর্তমানে মোট সংক্রমণের ২০% ক্ষেত্রে ‘বিএ.৫ ভেরিয়েন্ট’ পাওয়া যাচ্ছে। এরপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ‘ওমিক্রনের’ এই দুই সাবভেরিয়েন্ট।

‘ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি’-র এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২২ এপ্রিলের মধ্যেই অস্ট্রিয়া, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, ইসরাইল, জার্মানি, ইটালি, কানাডা, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড এবং বাতসোয়ানায় ছড়িয়ে পড়েছিল বিএ.৪। আর, বিএ.৫ সনাক্ত হয়েছিল, পর্তুগাল, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, হংকং, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইসরাইল, নরওয়ে, পাকিস্তান, স্পেন এবং সুইজারল্যান্ডে।