Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Babri Masjid demolition: বাবরি ধ্বংস মামলায় আডবাণীদের পক্ষেই রায় দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট

Babri Masjid demolition: বুধবার (৯ নভেম্বর), বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় লালকৃষ্ণ আডবাণী, উমা ভারতী, মুরলি মনোহর জোশী-সহ অভিযুক্তদের মুক্তির বিরুদ্ধে করা আবেদন খারিজ করে দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

Babri Masjid demolition: বাবরি ধ্বংস মামলায় আডবাণীদের পক্ষেই রায় দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট
বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলি মনোহর জোশী-সহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 09, 2022 | 6:42 PM

লখনউ: বুধবার (৯ নভেম্বর), বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় লালকৃষ্ণ আডবাণী, উমা ভারতী, মুরলি মনোহর জোশী-সহ অভিযুক্তদের মুক্তির বিরুদ্ধে করা আবেদন খারিজ করে দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। ২০২০ সালে এক বিশেষ সিবিআই আদালত তাঁদের এই মামলা থেকে বেকসুর খালাস দিয়েছিল। এরপর, অযোধ্যার দুই ব্যক্তি সিবিআই আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। বিচারপতি রমেশ সিনহা এবং বিচারপতি সরোজ যাদবের বেঞ্চ এদিন সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।

আবেদনকারীরা জানিয়েছিলেন, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ফলে, তাঁরা তাঁদের ঐতিহাসিক উপাসনাস্থল হারিয়েছিলেন। নিজেদেরকে ওই ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী এবং শিকার বলে দাবি করেছিলেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এবং দৃষ্কৃতীরা ব্যাপক লুঠপাট চালিয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছিলেন তারা। এই আবেদনের বিরোধিতা করে সিবিআই বলেছিল, আবেদনকারীরা মূল মামলার অভিযোগকারী বা শিকার ছিল না। তাই তাদের সিবিআই আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করার এক্তিয়ার নেই।

গত ৩১ অক্টোবর এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল। তবে আদালত সেদিন রায়দান করেনি। এদিন, উচ্চ আদালত সিবিআই আদালতের রায়ই বহাল রেখেছে। সিবিআই আদালত এর আগে অভিযুক্ত বিজেপি ও ভিএইচপি নেতাদের পক্ষেই রায় দিয়েছিল। আদালত সাফ জানিয়েছিল, মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। করসেবকরা নিজেদের ইচ্ছাতেই আচমকা ওই ঘটনা ঘটিয়েছিল। এই ঘটনার পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র আছে, তা বলার মতো কোনও তথ্য প্রমাণ নেই। কোনও সংবাদপত্রের কাটিং বা ভিডিয়ো ক্লিপকে প্রমাণ হিসেবে গ্রাঢ্য করেনি আদালত।

এই মামলায় মোট ৩২জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। অভিযুক্তদের তালিকায় ছিলেন, এলকে আডবাণী, মুরলী মনোহর জোশী, সাধ্বী ঋতম্ভরা, প্রয়াত কল্যাণ সিং-দের মতো শীর্ষস্থানীয় বিজেপি নেতা, রাম মন্দির ট্রাস্টের সভাপতি নৃত্যগোপাল দাস প্রমুখ। ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের এক ঐতিহাসিক রায়ে অযোধ্যার জমি বিতর্ক মামলার মীমাংসা ঘটেছিল। বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই সঙ্গে অযোধ্যাতেই ৫ একর জমির উপর একটি মসজিদ তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।