বাটলা হাউস এনকাউন্টার: ঘটনার ১৩ বছর পর মুজাহিদিন জঙ্গিকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত
২০০৮ সালের বাটলা হাউস এনকাউন্টারে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল দুই জঙ্গি আতিফ আমিন ও মহম্মদ সাজিদের।
নয়া দিল্লি: বাটলা হাউস এনকাউন্টার মামলায় অভিযুক্ত মুজাহিদিন জঙ্গি আরিজ খানকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। ২০১৮ সালের বাটলা হাউস এনকাউন্টারে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক পুলিশ কর্মীর। গুরুতর আহত হয়েছিলেন আরও ২ জন। সেই মামলায় এ দিন মুজাহিদিন জঙ্গি আরিজ খানকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। তার সাজা ঘোষণা হবে আগামী সোমবার।
২০০৮ সালের বাটলা হাউস এনকাউন্টারে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল দুই জঙ্গি আতিফ আমিন ও মহম্মদ সাজিদের। ২০১৩ সালে শাহজাদ আহমেদ নামে এক জঙ্গিকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেয় আদালত। মহম্মদ সইফ নামে আরও এক জঙ্গিকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। গ্রেফতারির সময় জঙ্গির গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল পুলিশ আধিকারিক মোহন চাঁদ শর্মার।
এরপর ২০১৮ সালে দিল্লি পুলিশের স্পেসাল সেল আজ়মগড়ের বাসিন্দা আরিজ খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০০৮ সালে ধারাবাহিক ভাবেই দেশের বিভিন্ন শহরে বিস্ফোরণ হয়েছিল। লাগাতার এই বিস্ফোরণের পর দিল্লির বাটলা হাউসে হানা দেয় পুলিশ। তবে সেখান থেকে পালিয়ে যায় অনেক জঙ্গি, তার মধ্যেই একজন ছিল আরিজ খান। ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিসের পাশাপাশি আরিজকে ধরার জন্য ১৫ লক্ষ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল দিল্লি পুলিশ। এরপর পুলিশের হাতে আসে আরিজ।
এই আরিজ একজন বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ। সে মুজ়াফরনগরের এসডি কলেজ থেকে বিটেক পাশ করেছে। দিল্লিতে পুলিশের গুলিতে নিহত আতিফ আমিন তাকে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সংযুক্ত করেছিল। ২০০৮ সালে বিস্ফোরণের পর নেপালে সালিম নামে লুকিয়েছিল আরিজ। সেখানে নিজের রেস্তরাঁর পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াত আরিজ। নেপালে থাকার সময় তার সঙ্গে পরিচয় হয় রিয়াজ়ের। রিয়াজ় তাকে ফের ভারতে মুজাহিদিনের জন্য কাজ করার কথা বলে। এরপর ২০১৪ সালে জঙ্গি সংগঠনকে শক্ত করার জন্য সৌদি আরবে গিয়েছিল আরিজ। সৌদি আরব থেকে ফিরে ২০১৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ভারতে ঢোকার সময় তাকে বনবাসা সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
আরও পড়ুন: নারী দিবসে নমোর অনলাইন শপিং- অসমের গামছা, তামিলনাড়ুর শাল আর বাংলার পাটের ফাইল ফোল্ডার