Bengaluru: এই লোভেই ভোর থেকে পোস্টঅফিসে মহিলাদের বন্যা! ডাকতে হল পুলিশ, ঘটল কী?

Bengaluru GPO: বর্তমানে একেবারেই গুরুত্ব হারিয়েছে পোস্ট অফিস। এরই মধ্যে সোমবার এক ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতার সাক্ষী হল বেঙ্গালুরুর জেনারেল পোস্ট অফিস। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভোর ৩টে থেকেই বন্যার জলের মতো মহিলারা আসতে শুরু করেছিলেন বেঙ্গালুরু জিপিও-তে। শেষে ডাকতে হয় পুলিশও। কেন?

Bengaluru: এই লোভেই ভোর থেকে পোস্টঅফিসে মহিলাদের বন্যা! ডাকতে হল পুলিশ, ঘটল কী?
বেঙ্গালুরুর পোস্টঅফিসে হঠাৎ মহিলাদের বন্যাImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: May 28, 2024 | 6:51 PM

বেঙ্গালুরু:  বর্তমানে একেবারেই গুরুত্ব হারিয়েছে পোস্ট অফিস। গ্রামের দিকে অবশ্য অনেক ক্ষেত্রেই পোস্ট অফিসগুলি ব্যাঙ্কের কাজ করে থাকে। পোস্ট অফিসের সেভিংস অ্যাকাউন্টেই টাকা জমা রাখেন গ্রামীণ এলাকার বহু মানুষ। কোভিডের সময়, পোস্ট অফিসের মাধ্যমেই সরকারি সুবিধাও পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও, আজকের দিনে গুরুত্ব হারিয়েছে পোস্ট অফিস। এরই মধ্যে সোমবার এক ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতার সাক্ষী হল বেঙ্গালুরুর জেনারেল পোস্ট অফিস।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভোর ৩টে থেকেই বন্যার জলের মতো মহিলারা আসতে শুরু করেছিলেন বেঙ্গালুরু জিপিও-তে। সকলেই সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে চান। তাদের অ্যাকাউন্ট খোলার চাপ এতটাই বেশি ছিল, যে শেষে অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া সহজতর করতে, অতিরিক্ত কর্মীও মোতায়েন করতে হয় পোস্ট অফিসকে। ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য খবর দিতে হয় পুলিশ বাহিনীকে! কিন্তু কেন হঠাৎ এক শহুরে এলাকার জিপিও-তে সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার এত আগ্রহ?

জানা গিয়েছে, এর জন্য দায়ী একটি গুজব। পোস্ট অফিসের কর্মীরা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিভ্রান্তিকর গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। ফেসবুক, টুইটার থেকে শুরু করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলিতে ছড়িয়ে পড়েছিল একটি খবর – ভোটের বাজারে, জিপিওতে সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুললেই অ্যাকাউন্টে ৮,০০০ টাকা করে পাওয়া যাবে ভারতীয় ডাক বিভাগের পক্ষ থেকে। ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্ট ব্যাঙ্কের আওতায় খোলা প্রতিটি অ্যাকাউন্টে টাকা দিচ্ছে ডাক বিভাগ। ওই বিভ্রান্তিকর পোস্ট আরও বলা হয়েছিল, সোমবার পর্যন্তই এই সুবিধা পাওয়ার যাবে।

এতেই হাজার-হাজার মহিলা জিপিওতে ভিড় করেন। মহিলাদের কেউ কেউ মনে করেছিলেন, নগদ পাওয়ার প্রথম পদক্ষেপ হল অ্যাকাউন্ট খোলা। আবার কেউ কেউ মনে করেছিলেন, এই প্রকল্প ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে। অ্যাকাউন্ট খুললেই ডাক বিভাগের পক্ষ থেকে অ্যাকাউন্টে ৮০০০ টাকা জমা পড়ে যাবে।

সকাল থেকে মহিলাদের ভিড় বাড়ছে দেখে, প্রবেশপথে একটি পোস্টার লাগাত বাধ্য হয় বেঙ্গালুরু জিপিও। পোস্টারে স্পষ্ট লেখা হয়েছিল, এই জাতীয় নগদ দেওয়ার কোনও কর্মসূচি বা উদ্যোগ ডাক বিভাগ নেয়নি। অ্যাকাউন্ট খুললে কোনও অর্থ পাওয়া যাবে না। তারপরও, নগদ সহায়তা পাওয়ার আশায় মহিলারা জিপিওতে ভিড় জমান। জিপিও জানিয়েছে, এমনি সময় প্রতিদিন গড়ে ১০০ থেকে ২০০ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। কিন্তু, গত এক সপ্তাহ ধরে, অ্যাকাউন্ট খোলার সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছিল ৭০০ থেকে ৮০০।