Navjot Singh Sidhu: মানের অনুরোধ সিধু মানলে কি আজ পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হতেন অন্য কেউ?
Navjot Singh Sidhu: সিধুর কথায়, "মান আমার ডেপুটি হতে রাজি হয়েছিল। সে কংগ্রেসে যোগ দিতে চেয়েছিল। এমনকি, আমি আম আদমি পার্টিতে যোগ দিলেও সে আমার ডেপুটি হতে রাজি বলে জানিয়েছিল।"
নয়াদিল্লি: একজন পঞ্জাবের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। অন্যজন প্রাক্তন সাংসদ ও কংগ্রেস নেতা। দ্বিতীয়জন প্রথমজনের অনুরোধ মানলে কি পঞ্জাব মন্ত্রিসভায় আজ অন্য ছবি দেখা যেত? দ্বিতীয়জন তেমনই ইঙ্গিত দিলেন। প্রথমজন হলেন ভগবন্ত মান। আর দ্বিতীয়জন নভজ্যোৎ সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu)। কংগ্রেস নেতা সিধু দাবি করলেন, তাঁর ডেপুটি হতে চেয়েছিলেন ভগবন্ত মান (Bhagwant Mann)।
একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা কংগ্রেস নেতা সিধু বলেন, একবার মান তাঁর কাছে একটি অনুরোধ করেছিলেন। সিধুর কথায়, “মান আমার ডেপুটি হতে রাজি হয়েছিল। সে কংগ্রেসে যোগ দিতে চেয়েছিল। এমনকি, আমি আম আদমি পার্টিতে যোগ দিলেও সে আমার ডেপুটি হতে রাজি বলে জানিয়েছিল।” কিন্তু, সিধু মানকে জানান, তিনি কংগ্রেস ছাড়বেন না। আর মান যদি কংগ্রেসে যোগ দিতে চান, তাহলে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলার জন্য জানিয়েছিলেন সিধু।
প্রাক্তন ক্রিকেটার সিধুর রাজনৈতিক জীবন শুরু বিজেপির হাত ধরে। ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অমৃতসর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন তিনি। এমনকি কয়েকমাসের জন্য রাজ্যসভার সাংসদও হয়েছেন। ২০০৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিজেপিতে ছিলেন সধু। পরে যোগ দেন কংগ্রেসে। কংগ্রেসের টিকিটে জিতে ২০১৭ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পঞ্জাবের বিধায়ক ছিলেন তিনি। ২০১৭ সালের মার্চ থেকে ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত পঞ্জাব মন্ত্রিসভার সদস্যও ছিলেন। শুধু তাই নয়, ২০২১ সালে জুলাই থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্বও সামলেছেন। সেই সিধু ফের বিজেপিতে যেতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। তবে সিধু স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তাঁর পক্ষে রাহুল গান্ধী ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে ছেড়ে অন্য দলে যাওয়া সম্ভব নয়।
সিধুর রাজনৈতিক জীবন যেমন বিজেপির হাত ধরে, তেমনই মানের রাজনৈতিক জীবন শুরু পিপলস পার্টি অব পঞ্জাবের হাত ধরে। ২০১১ সালে পিপলস পার্টি অব পঞ্জাবে যোগ দেন মান। ২০১৪ সালে সেই দল ছেড়ে আম আদমি পার্টিতে আসেন। তারপর ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সঙ্গরুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জেতেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও ওই আসন থেকে জেতেন তিনি। ২০২২ সালে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে পর্যন্ত সাংসদ ছিলেন তিনি।
সত্যিই কি কংগ্রেসে যোগ দিয়ে সিধুর ডেপুটি হতে রাজি হয়েছিলেন মান? এই নিয়ে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর কোনও জবাব এখনও পাওয়া যায়নি। তবে, তা ঘটলে পঞ্জাবের মন্ত্রিসভা অন্যরকম হতে পারত বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।