সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা AAP সরকারের, মন্ত্রিসভার পরামর্শ না নিয়েই নিয়োগ করতে পারবেন লেফট্যানেন্ট গভর্নর

Supreme Court: গত বছর, দিল্লির সরকার সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ করে, নির্বাচিত সরকারই দিল্লির পুরসভায় নিয়োগ করত আগে। এখনও এই অধিকার শুধুমাত্র দিল্লি সরকারেরই আছে বলে দাবি করে তারা। ২০২৩ সালের মে মাসে এই মামলার শুনানি শেষ হয়।

সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা AAP সরকারের, মন্ত্রিসভার পরামর্শ না নিয়েই নিয়োগ করতে পারবেন লেফট্যানেন্ট গভর্নর
ফাইল চিত্রImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 05, 2024 | 1:15 PM

নয়া দিল্লি: সরকারের কোনও পরামর্শ না নিয়েই দিল্লির লেফট্যানেন্ট গভর্নর পুরনিগমের সদস্য মনোনীত করতে পারবেন। সোমবার এমনই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট উল্লেখ করেছে, দিল্লি পুরনিগমের আইন অনুযায়ী, লেফট্যানেন্ট গভর্নরের হাতে এমন ক্ষমতা আছে যে তিনি সরকারের পরামর্শ না নিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আইন অনুযায়ীই লেফট্যানেন্ট গভর্নরের কাজ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছে শীর্ষ আদালত।

লেফট্যানেন্ট গভর্নরের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লির সরকার একটি আবেদন করেছিল সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি নরসিংহ ও বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালার বেঞ্চে ছিল মামলার শুনানি। সেই মামলাতেই এই রায় দেওয়া হয়েছে। এই রায় দিল্লির আম আদমি পার্টির সরকারের বড় ধাক্কা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা দিল্লির মন্ত্রিসভার পরামর্শ না নিয়েই দিল্লির মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনে ১০ জনকে নিয়োগ করেছিলেন। দিল্লি সরকারের দাবি, লেফটেন্যান্ট গভর্নর তাদের পরামর্শ ছাড়াই ইচ্ছেমতো নিয়োগ করেছে।

১৯৯৩ সালের দিল্লি মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশন (ডিএমসি) আইনে বলা আছে যে রাজ্যপালকে দিল্লি সরকারের সাহায্য এবং পরামর্শ নিয়ে কাজ করার প্রয়োজন নেই। সুপ্রিম কোর্ট সে কথা উল্লেখ করে জানিয়ে দিয়েছে, পুরনিগমের জন্য ১০জনকে মনোনীত করতে পারেন লেফট্যানেন্ট গভর্নর। এই মামলায় প্রশ্ন ওঠে, লেফট্যানেন্ট গভর্নর কি মন্ত্রিসভার সাহায্য ও পরামর্শ নিতে বাধ্য?

গত বছর, দিল্লির সরকার সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ করে, নির্বাচিত সরকারই দিল্লির পুরসভায় নিয়োগ করত আগে। এখনও এই অধিকার শুধুমাত্র দিল্লি সরকারেরই আছে বলে দাবি করে তারা। ২০২৩ সালের মে মাসে এই মামলার শুনানি শেষ হয়। তবে সুপ্রিম কোর্ট রায় সংরক্ষিত রেখেছিল। ১৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে সিদ্ধান্ত সংরক্ষণ করার পরে, সুপ্রিম কোর্ট এবার সেই রায় দিল।