‘রাজনীতিক মমতা’ ইজ নট মাই কাপ অব টি: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস

CV Ananda Bose-Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কেমন, এই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, "কোন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? আমার সামনে তিনজন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছে। একজন হলেন ব্যক্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে আমার খুব ভাল সম্পর্ক।"

'রাজনীতিক মমতা' ইজ নট মাই কাপ অব টি: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সি ভি আনন্দ বোসImage Credit source: X
Follow Us:
| Updated on: Aug 05, 2024 | 1:29 PM

নয়া দিল্লি: ব্যক্তি হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)-কে শ্রদ্ধা করেন, তাঁর সঙ্গে পেশাগত সম্পর্কও রয়েছে কিন্তু রাজনীতিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বোঝার ঊর্ধ্বে। এমনটাই বললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। একইসঙ্গে রাজ্যের আর্থিক ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তিনি। বরাদ্দ টাকা অন্য খাতে ব্যয় হচ্ছে বলেই দাবি করেন তিনি।

সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক এবং তাঁদের মতাদর্শের পার্থক্য নিয়ে কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কেমন, এই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, “কোন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? আমার সামনে তিনজন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছে। একজন হলেন ব্যক্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে আমার খুব ভাল সম্পর্ক। দ্বিতীয় হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে আমার পেশাগত সম্পর্ক। তৃতীয় হল রাজনীতিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যা আমার বোঝার ঊর্ধ্বে।

তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন চলাকালীন ওঁ (মমতা) এই বিষয়গুলি গুলিয়ে ফেলেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মিলে গিয়েছিল, কিছু মন্তব্য করেছিলেন। আমিও রাজ্যপাল হিসাবে নয়, ব্যক্তি হিসাবে মানহানির জন্য ওঁর বিরুদ্ধে মামলা করি। আমাদের সম্পর্কের জটিলতা এটাই। এর বাইরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার বন্ধু। মুখ্যমন্ত্রী আমার সহকর্মী। আমি তো রাজনৈতিক নেতা নই। রাজনৈতিক নেতারা নিজস্ব এক ধরনের পথে চলেন। আমার আত্মসম্মানের সঙ্গে আমি তা মিলে যেতে দেব না।”

প্রসঙ্গত, রাজভবনে এক অস্থায়ী কর্মী রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে তিনি আর রাজভবনে দেখা করতে যাবেন না। প্রয়োজন পড়লে রাজভবনের বাইরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরই মানহানির মামলা করেন রাজ্যপাল। আগামী ১৪ অগস্ট পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যপাল সম্পর্কে মানহানির নিয়ম লঙ্ঘন করে, এমন মন্তব্য করতে বারণ করা হয়েছে।

এর পাশাপাশি সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, “রাজ্যপালের কর্তব্য সংবিধান মেনে রাজ্য সরকার কাজ করছে কি না, তা দেখা রাজ্যপালের দায়িত্ব। পশ্চিমবঙ্গের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় অনেক গলদ রয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ও কম্প্রোট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের বিশ্লেষণ থেকেই এই মত তৈরি হয়েছে। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলছি যে পশ্চিমবঙ্গে অর্থনৈতিক অবক্ষয় হচ্ছে। গরিব মানুষদের জন্য যে অর্থ ব্যয় হওয়া উচিত, তা অন্য উদ্দেশে ব্যবহার হচ্ছে। আমি শ্বেতপত্র চেয়েছি। সাংবিধানিকভাবে রাজ্যপাল রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে যে কোনও তথ্য জানতে চাইতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে। মুখ্যমন্ত্রীও সেই তথ্য রাজ্যপালকে জানাতে বাধ্য। আমি অপেক্ষা করব..”