‘মানুষের পাশে থাকার প্রতিফলন’, বিহারে বামেদের বেনজির সাফল্য

বিহারের যে ২৯টি আসনে বামেরা এবার লড়েছে তার মধ্যে ৬০ শতাংশ আসনেই জয় পেয়েছে। শতাংশের নিরিখে বিহারে বামেদের ভোট ৭.৩৯%। গতবারের তুলনায় যা ৬ শতাংশেরও বেশি।

‘মানুষের পাশে থাকার প্রতিফলন’, বিহারে বামেদের বেনজির সাফল্য
বিহারে বামেদের বেনজির সাফল্য।
Follow Us:
| Updated on: Nov 10, 2020 | 6:21 PM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: বিহারে (Bihar) কি এবারও ‘ডবল ইঞ্জিনের সরকার’? নাকি ‘পরিবর্তন’? ১০ নভেম্বর নির্বাচনী (Bihar Election Results) ফল প্রকাশের আগে পর্যন্ত সিংহভাগ বুথ ফেরত সমীক্ষায়ই ইঙ্গিত ছিল, আর হয়ত ক্ষমতায় ফেরা হবে না নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar)। বিহার রাজনীতিতে নতুন সম্ভবনা হয়ে উঠে আসছিলেন লালু তনয় তেজস্বী যাদব (Tejaswi Yadav)। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত সেই সম্ভাবনাই জোরদার। বিহারে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে এগিয়ে আরজেডি। দ্বিতীয় বিজেপি। তৃতীয় স্থানে রয়েছে জেডিইউ। কংগ্রেস চারে। ক্ষমতার আসে পাশে না থাকলেও চমকপ্রদ ফল সিপিআইএমল (CPI M-L) এবং বামেদের (Left)।

 

 

নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত ফল অনুযায়ী, বিহারের ২৪৩ আসনের মধ্যে ৭৭ আসনে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে লালুর দল। বিজেপি এখনও জয় নিশ্চিত করতে পেরেছে ৭২ আসনে। ২০১৫ সালে লালুর সঙ্গে জোট করে নীতীশ যেখানে পেয়েছিলেন ৭১ আসন, সেখানে এবার বিজেপি-র সঙ্গে জোট করে লড়ে এখনও পর্যন্ত ৪২টি আসনই সুরক্ষিত করতে পেরেছে। কংগ্রেসের এখনও ১৯টি আসনে সুনিশ্চিত জয়ের ইঙ্গিত রয়েছে।

 

 

উল্লেখ্যনীয় ভাবে এবারের নির্বাচনে ১৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছে সিপিআইএমএল। যার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১২টি আসনে জয় কার্যত নিশ্চিত। কানহাইয়া কুমারের (Kanhaiya Kumar) পার্টি সিপিআই (CPI) একটি আসনে জিতেছে এবং দুটিতে এগিয়ে। সিপিআইএম (CPIM) জিতেছে দুটি আসনে। বিহারের যে ২৯টি আসনে বামেরা এবার লড়েছে তার মধ্যে ৬০ শতাংশ আসনেই জয় পেয়েছে। শতাংশের নিরিখে বিহারে বামেদের ভোট ৭.৩৯%। গতবারের তুলনায় যা ৬ শতাংশেরও বেশি। ২০১৫ সালের নির্বাচনে বিহার বিধানসভায় বামেদের আসন ছিল ৩। এবার তা অন্তত ১৮ হওয়ার দিকে। বিহারের আরা, আরওয়াল, বলরামপুর, বিভূতিপুর, দারৌলি, দুমরাওঁ, করকত, মানঝি, পালিগঞ্জ, তরারি, বখরির মতো অঞ্চলগুলোতে চমকপ্রদ ফল করেছে বামেরা।

 

Dipankar Bhattacharya

সিপিআইএমএল নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্য।

 

এই বেনজির সাফল্যের পর দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় লিবারেশেন নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্য (Dipankar Bhattacharya) জানিয়েছেন, “এটা দেখে ভাল লাগছে, মানুষ শিক্ষা, বেকারত্বের মতো মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে ভাবিত। বামেরা এতে উজ্জীবিত হবে। বিহারের মানুষ বুঝতে পেরেছে ডবল ইঞ্জিনের একটিতেও চালক নেই। লকডাউনে আমরা যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি, রেশন পৌঁছে দিয়েছি, আমার মনে হয় ভোটের ফল তারই প্রতিফলন।”