‘কংগ্রেস ডুবন্ত নৌকা’! সারা দেশে ‘গেরুয়া ঝড়’, ধরাশায়ী বিরোধীরা

সারা দেশে বিজেপি জিতলেও ছত্তীসগঢ়ে হাত তুলল কংগ্রেস। মারওয়াহির বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে কংগ্রেস প্রার্থীই।

'কংগ্রেস ডুবন্ত নৌকা'! সারা দেশে 'গেরুয়া ঝড়', ধরাশায়ী বিরোধীরা
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Nov 10, 2020 | 8:52 PM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: বিহার থেকে মধ্য প্রদেশ, দেশব্যাপী গেরুয়া ঝড়ে (BJP) কার্যত ধরাশায়ী বিরোধীরা। অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে এসেছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। মধ্য প্রদেশের উপ নির্বাচনে আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন মধ্য প্রদেশের ‘যুবরাজ’ তিনিই। সিন্ধিয়া দাপটে ফিকে কমল নাথ। অন্য দিকে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে ৭৩ টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। উত্তর প্রদেশের উপ নির্বাচনেও জয়জয়কার বিজেপির। উন্নাও ধর্ষণের ফলে এতটুকুও পায়ের তলার মাটি সরেনি যোগীর। তা বলে দিচ্ছে নির্বাচনের ফলাফলই। কর্ণাটকেও ইয়েদুরাপ্পা হাওয়ায় উড়ে গেল সব বিরোধীরা। গুজরাটেও বিজেপির দারুণ ফল। বিজয় রূপানি বলে দিয়েছেন, “কংগ্রেস ডুবন্ত নৌকা।” সারা দেশে আনন্দ উচ্ছাসে মেতেছেন বিজেপি কর্মীরা।

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক উপ নির্বাচনে কোন রাজ্যে কী ফল…….

মধ্য প্রদেশ: জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে আসার পরেই জোরাল হয়েছিল জল্পনা। দল বদলের পরেও কি একই থাকবে তাঁর জনপ্রিয়তা? উঠেছিল সে প্রশ্নও। কিন্তু সব জল্পনার অবসান ঘটালেন জ্যোতিরাদিত্য। মধ্য প্রদেশের ২৮ টি আসনে উপ নির্বাচন হয়েছিল। যার মধ্যে ১৯ আসনই বিজেপির দখলে। ৯ টি আসনে ইতিমধ্যেই বিজয়ী বিজেপি। ১০ টি আসনে এগিয়ে শিবরাজ সিং-জ্যোতিরাদিত্য ডুয়ো। সরকারে কায়েম থাকতে হলে বিজেপিকে জিততে হত ৮ টি আসনে। আর কংগ্রেসের প্রয়োজন ছিল ২৭ টি আসনের। যেখানে কংগ্রেসের দখলে মাত্র ৯ টি আসন। যার ১ টি আসনে ইতিমধ্যেই জয়লাভ করেছে কংগ্রেস। বাকি ৮ টি আসনে এগিয়ে তারা। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী থাকছেন শিবরাজ সিং চৌহানই।

BJP

জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। ফাইল চিত্র

উত্তর প্রদেশ: উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেনগার। তারপরেই বিজেপি তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে। সেই আসনেও উপ নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। এছাড়াও যোগী রাজ্যে আইনের শাসন নেই, ‘জঙ্গলরাজ’ চলছে বলে একাধিক বার অভিযোগ করেছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। কিন্তু তার কোনও প্রভাবই পড়ল না উপ নির্বাচনে। হইহই করে বেশির ভাগ আসনে এগিয়ে বিজেপি। পাত্তা পেলেন না অখিলেশ যাদব। উত্তর প্রদেশের সাতটি আসনের ৬ টিতেই এগিয়ে বিজেপি। যার মধ্যে ৪ আসনে ইতিমধ্যেই জয়লাভ করেছে যোগীর দল। বাকি ২ আসনে এগিয়ে তারা। সমাজবাদী পার্টির দখলে মাত্র ১ আসন।

গুজরাট: গুজরাটে মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারেনি বিরোধী কোনও দল। মোদী ম্যাজিকে আটে আট বিজেপি। ৭ আসনে ইতিমধ্যেই বিজয়ী হয়েছে রূপানির পদ্ম শিবির। বাকি ১ আসনেও তারাই এগিয়ে।

মণিপুর: উত্তর পূর্বেও সতেজ পদ্ম। মণিপুর উপনির্বাচনে ৫ আসনের মধ্যে ৪ টি বিজেপির দখলে। সিনঘাট আসনে জয়ী বিজেপি প্রার্থী জিনসুয়ানহাউ। ওয়ানগই-সহ বেশিরভাগ আসনেই বীরেন সিংয়ের জয়জয়কার। ধোপে টিকল না ৯ বিধায়কের ইস্তফা। বিফলে গেল কংগ্রেসের অনাস্থা প্রস্তাবও।

তেলেঙ্গানা: তেলেঙ্গানায় নিশ্চিহ্ন কংগ্রেস। ডুব্বাকা বিধানসভা ধরে রাখতে মরিয়া চেষ্টা করেছিল চন্দ্রশেখর রাওর টিআরএস। কিন্তু বোধ হয় শেষ রক্ষা হল না। গোলাপী গড়ে এখনও এগিয়ে বিজেপিই।

সারা দেশে হইহই করে বিজেপি জিতলেও গেরুয়া ঝড়ে প্লাবিত হয়নি ওড়িশা। মোদী হাওয়া রুখে দিয়েছেন নবীন পট্টনায়ক। ওড়িশায় দুটি আসনে উপ নির্বাচন ছিল। দুটি আসনেই এগিয়ে বিজু জনতা দল। নিস্প্রভ বিজেপি। প্রথম দিকে এগিয়ে গেলেও ঝাড়খণ্ডে এই নির্বাচনে মাটি শক্ত করতে পারল না বিজেপি। হেমন্ত গড়ে একটি আসন কংগ্রেসের দখলে, অপরটি জিতেছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। নাগাল্যাণ্ড ও হরিয়ানায়ও আটকে গিয়েছে বিজেপির বিজয় রথ। হরিয়ানার একটি আসনে উপ নির্বাচন হয়েছিল। কৃষি বিলের বিরুদ্ধে বিজেপি বিরোধী আন্দোলন দেখেছে হরিয়ানা। স্বাভাবিক ভাবেই আসনটি কংগ্রেসের দখলে। নাগাল্যান্ড সবুজে সবুজ। ২ টি আসনের একটিতে জিতেছেন নির্দল প্রার্থী অপরটি ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির দখলে। সারা দেশে বিজেপি জিতলেও ছত্তীসগঢ়ে হাত তুলল কংগ্রেস। মারওয়াহির বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে কংগ্রেস প্রার্থীই।