Hooghly: গাছের গায়ে ঝুলছে কিউ আর কোড! অত্যুৎসাহী হয়ে এই ব্যক্তি স্ক্যান করতেই, যা ঘটল…অভিনব এই পন্থা এ বাংলায় প্রথম

Hooghly: চন্দননগরে গাছের গায়ে লেখা 'হ্যালো মাই সেলফ' তার তলায় কিউ আর কোড।যেখানে স্ক্যান করলেই জানা যাবে সেই গাছ সম্বন্ধে যাবতীয় তথ্য। মাস চারেক আগে শুরু হয়েছিল এই কাজ।

Hooghly: গাছের গায়ে ঝুলছে কিউ আর কোড! অত্যুৎসাহী হয়ে এই ব্যক্তি স্ক্যান করতেই, যা ঘটল...অভিনব এই পন্থা এ বাংলায় প্রথম
গাছের গায়ে লাগানো QR Code Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 12, 2025 | 12:20 PM

হুগলি: গাছে লাগানো কিউ আর কোড! শুনে অবাক হচ্ছেন! সেই কিউ আর কোডে স্ক্যান করারল পর যা হচ্ছে, তা শুনলে আরও অবাক হবেন। গাছ নিজেই তার পরিচয় দিচ্ছে, কিউ আর কোডে তুলে ধরছে যাবতীয় তথ্য।

চন্দননগরে গাছের গায়ে লেখা ‘হ্যালো মাই সেলফ’ তার তলায় কিউ আর কোড।যেখানে স্ক্যান করলেই জানা যাবে সেই গাছ সম্বন্ধে যাবতীয় তথ্য। মাস চারেক আগে শুরু হয়েছিল এই কাজ। চন্দননগর পুর নিগম আনুষ্ঠানিক ভাবে আজ গাছের গাছের আত্মপরিচয় প্রকাশ করল।

সাবেক ফরাসডাঙা চন্দননগরকে আলোর শহর বলা হয়। সেই শহরে যেমন ফরাসী আমলের সৌধ আছে তেমনি শহরের বিবর্তনের সাক্ষী হয়ে যারা আজও বেঁচে রয়েছে সেই গাছেদের জন্য তৈরি হয়েছে পরিচয় পত্র। চন্দননগর পুরনিগমের জীব বৈচিত্র্য ব্যবস্থাপনা কমিটি বায়ো ডাইভারসিটি ডিপার্টমেন্ট এই উদ্যোগ নিয়েছে। স্থানীয় মানুষ গবেষক পড়ুয়া ও পর্যটকরা সেই কিউ আর কোড স্ক্যান করে গাছের পরিচয় জানতে পারবেন।

চন্দননগর স্ট্যান্ড রোড চার্চের সামনে গভর্মেন্ট কলেজের সামনে গঙ্গার পাড়ে বহু প্রাচীন গাছ রয়েছে। প্রত্যেকটি গাছের জন্য তৈরি হয়েছে আলাদা আলাদা কিউ আর কোড। গাছের পরিচয় পত্র থেকে যে কেউ মোবাইল স্ক্যান করে গাছ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন খুব সহজেই। কী প্রজাতির গাছ, কত বয়স, কী উপকারিতা আছে কোথায় কোথায় পাওয়া যায় তার যাবতীয় তথ্য এক ক্লিকেই পাওয়া যাবে। তারা কোন প্রজাতির গাছ কী, তাদের পরিচয় সেই সম্পর্কিত সকল তথ্য পাওয়া যাবে তাদের পরিচয় পত্র স্ক্যান করে।

প্রাথমিক ভাবে চন্দননগর পাতাল বাড়ি থেকে স্ট্যান্ড ঘাট ও বড়বাজার লাগোয়া এলাকায় ২৪৯ টি গাছে পরিচয় পত্র তৈরি হয়েছে। ১২ টি গাছের কিউ আর কোড আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন চন্দননগর মেয়র রাম চক্রবর্তী। চন্দননগর রানিঘাটে তিনশো বছরের প্রাচীন একটি বট গাছের কিউ আর কোড এর উদ্বোধন করেন মেয়র।

গুগলের উইকিপিডিয়ার সঙ্গে কিউ আর কোড যোগ করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে।সেখান থেকেই মিলবে তথ্য। চন্দননগর মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, “চন্দননগর শহরের ইতিহাস অনেক। বহু মানুষ বিদেশ থেকেও চন্দননগর শহরে আসেন। তারা এই প্রাচীন গাছ গুলো দেখে অনেক সময় তাদের সম্পর্কে জানতে চান।আমরা তাই এই ব্যবস্থা করেছি। গাছের নম্বারিং যেমন থাকবে তেমনি কিউআর কোড লাগানো থাকবে।যেটা স্ক্যান করলে গাছ সম্বন্ধে যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে।”

শহরবাসী যারা চন্দননগর স্ট্যান্ডে ঘুরতে আসেন যারা তারাও খুশি। তাঁদের বক্তব্য, একটা অভিনব ব্যাপার। গাছে স্ক্যান করলেই এভাবে তার পরিচিতি পাওয়া যাচ্ছে।