বিজেপির বড় পদক্ষেপ, বাংলায় আসছেন ৫ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

বড় পদক্ষেপ করল গেরুয়া শিবির (BJP)। বিধানসভা ভোটের আগে বেছে বেছে স্থান-কাল নির্দিষ্ট করে সেখানে প্রচারের ঝড় তোলার জন্য ‘পাত্র’ ঠিক করে দিলেন শাহ-নাড্ডারা।

বিজেপির বড় পদক্ষেপ, বাংলায় আসছেন ৫ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Updated on: Dec 18, 2020 | 6:49 PM

নয়া দিল্লি: দু’দিনের সফরে শুক্রবার রাজ্য পা রাখছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। তার ঘণ্টাকয়েক আগেই বাংলার ভোটকে (West Bengal Assembly Election 2021) সামনে রেখে আরও এক বড় পদক্ষেপ করল গেরুয়া শিবির (BJP)। বিধানসভা ভোটের আগে বেছে বেছে স্থান-কাল নির্দিষ্ট করে সেখানে প্রচারের ঝড় তোলার জন্য ‘পাত্র’ ঠিক করে দিলেন শাহ-নাড্ডারা। পশ্চিমবঙ্গের মানচিত্রকে ছয় ভাগে ভেঙে, ছয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাঁধে দায়িত্ব সঁপে দেওয়া হয়েছে প্রচার সামলানোর জন্য। পুরোপুরি কর্পোরেট কায়দাতেই যে একুশে বঙ্গ জয় করতে চাইছে বিজেপি তা স্পষ্ট।

এই ‘গুরুদায়িত্ব’ যাঁরা পেয়েছেন, তাঁরা হলেন- কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়ত, অর্জুন মুণ্ডা, প্রহ্লাদ প্যাটেল, সঞ্জিব বালিয়া, নিত্যানন্দ রাই এবং মনসুখ ভাই মান্ডাভিয়া। পরবর্তী সময়ে এই তালিকায় উত্তর প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য এবং মধ্য প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রও আসবেন।

এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মধ্যে প্রহ্লাদ প্যাটেলকে বাংলার ৬টি লোকসভা আসনের দায়িত্ব দেওয়া হয়ছে। বাকি প্রত্যেকেই ৫টি করে লোকসভা আসনের প্রচার সামলাবেন। যতদিন না বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, ততদিন প্রত্যেক মাসে অন্তত ১০-১৫ দিন দায়িত্ব পাওয়া লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে কাটাতে হবে তাঁদের। এমনটাই জানা গিয়েছে বিজেপি সূত্রে।

এই মন্ত্রীদের প্রধান কাজ হতে চলেছে, তৃণমূল স্তরে বিজেপির সংগঠন আরও শক্তিশালী করে তোলা। সংশ্লিষ্ট একালায় কী কী সমস্যা রয়েছে সেটা খুঁজে বের করে তার সমাধান করা এবং আসন্ন নির্বাচনের আগে যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম দলের অন্দরে ঘোরাফেরা করছে, তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জমা দেওয়া। এই প্রতিনিধিরা সোজা বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, অমিত শাহ ও সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষের কাছে রিপোর্ট জমা দেবেন।

আরও পড়ুন: শুভেন্দু এখনও তৃণমূলেরই বিধায়ক: স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার ২৯৪টি আসনের মধ্যে কমপক্ষে ২০০টি আসন টার্গেট করে নামছে বিজেপি। সেই লক্ষ্যেই কোমর বেঁধে নেমেছে গেরুয়া শিবির। এদিকে, অমিত শাহের সফরের আগে তৃণমূলের ভাঙন থামার লক্ষণ না দেখা যাওয়ায় তা বাড়তি অক্সিজেন দিচ্ছে বিজেপিকে। ঘাসফুল শিবির থেকে একের পর এক বিধায়ক বা অন্যান্য পদাধিকারীরা পদত্যাগ করে চলেছেন। ফলে মারাত্মক চাপের মুখে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।

তবে বাংলার বিধানসভা ভোট উপলক্ষে এই প্রথম কেন্দ্রীয় নেতাদের কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি, এমনটা নয়। মাসখানেক আগেও মোদী-শাহের ‘আস্থাভাজন’ পাঁচ নেতাকে এ রাজ্যে নিয়ে আসে বিজেপি। সেই তালিকায় সুনীল দেওধর, দুষ্যন্ত গৌতম, বিনোদ তাওড়ে, হরিশ দ্বিবেদী এবং বিনোদ সোনকররা ছিলেন। জানা যাচ্ছে, তাঁরাও বঙ্গে ভোট পরিচালনায় বড় ভূমিকা নেবেন।

আরও পড়ুন: স্বামীজীর বাড়ি হয়েই ‘শাহি’ সফর শুরু