শুভেন্দু এখনও তৃণমূলেরই বিধায়ক: স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়
কোন মর্মে শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফাপত্র বিধিসম্মত নয়, তার ব্যাখ্যা এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে দিলেন স্পিকার।
কলকাতা: রাত পোহালেই তাঁর বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা! বঙ্গ রাজনীতিতে এটাই এখন চর্চিত বিষয়। কিন্তু এখনও গৃহীত হল না তাঁর বিধায়ক পদ থেকে দেওয়া ইস্তফাপত্র। ‘বিধিসম্মত নয়’, আগেই সেকথা জানিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কোন মর্মে শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফাপত্র বিধিসম্মত নয়, তার ব্যাখ্যা এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে দিলেন স্পিকার।
স্পিকার যে বিষয়গুলি উল্লেখ করেন.
শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভায় স্পিকারের উপস্থিতিতে ইস্তফাপত্র জমা দেননি। সেদিন বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন স্পিকার। তবুও তাঁর সামনে ইস্তফাপত্র দেননি শুভেন্দু। পরে ইমেল মারফত পদত্যাগপত্র পাঠান।
ইমেলে যে পদত্যাগপত্রটি পাঠানো হয়, তাতে কোনও তারিখ উল্লেখ করেননি শুভেন্দু। যা বিধিসম্মত নয়।
ইস্তফাপত্রে পদত্যাগের কোনও যথাযথ কারণ উল্লেখ করেননি শুভেন্দু অধিকারী। অর্থাত্ কী কারণে তিনি পদত্যাগ করছেন এবং সেটা স্বেচ্ছায় কিনা, তা উল্লেখ করেননি।
স্পিকার জানিয়েছেন, 190 (3) (B) ধারা অনুযায়ী এই পদত্যাগপত্র বিধিসম্মত নয়। তাঁর কথায়, “এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার আমার ওপরেই রয়েছে। আমি যদি সন্তুষ্ট হই। আমার পক্ষে এখনই এই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা সম্ভব নয়। ওঁ এখনও বিধানসভায় তৃণমূলের সদস্য।” আগামী সোমবার দুপুর ২টোর সময়ে শুভেন্দু অধিকারীকে বিধানসভায় ডেকে পাঠিয়েছেন স্পিকার।
আরও পড়ুন: বাংলার বিজেপি নেতাদের আপাতত গ্রেফতার নয়, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট
এদিকে, রাজনৈতিক মহলে আড়ি পাতলেই শোনা যাচ্ছে, রাত পোহালেই বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী। তার আগে শুভেন্দু অধিকারী নিজের ‘আদর্শ’কে বজায় রাখতে দলের বিধায়ক পদ থেকে সরে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর ইস্তফাপত্রই এখন প্রশ্নের মুখে। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, শুভেন্দুর এক্ষেত্রে অস্বস্তি বজায় থাকল।