JP Nadda: কংগ্রেসের কাছে বিজাতীয় হলেও জনসেবা প্রদান সরকারের কর্তব্য: জেপি নাড্ডা

BJP Chief JP Nadda: জনসেবা প্রদান কংগ্রেস দলের কাছে এক 'বিজাতীয় ধারণা'। কংগ্রেসের একমাত্র উদ্দেশ্য হল, 'গরিবদের দারিদ্র্যের মধ্যে রেখে দেওয়া'। রবিবার (২২ অক্টোবর), কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা।

JP Nadda: কংগ্রেসের কাছে বিজাতীয় হলেও জনসেবা প্রদান সরকারের কর্তব্য: জেপি নাড্ডা
বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাImage Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 22, 2023 | 10:17 PM

নয়া দিল্লি: জনসেবা প্রদান কংগ্রেস দলের কাছে এক ‘বিজাতীয় ধারণা’। কংগ্রেসের একমাত্র উদ্দেশ্য হল, ‘গরিবদের দারিদ্র্যের মধ্যে রেখে দেওয়া’। রবিবার (২২ অক্টোবর), কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। এদিনই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে এক সরকারি আদেশের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। খাড়্গের দাবি, ওই সরকারি আদেশে যুগ্ম সচিব, ডিরেক্টর এবং উপসচিবের মতো উচ্চপদস্থ সরকারি অফিসারদের দেশের ৭৬৫টি জেলায় মোতায়েন করার কথা বলা হয়েছে। দেশের সমস্ত জেলায় ‘রথ প্রভারি’, অর্থাৎ, বিশেষ আধিকারিক হিসাবে ‘ভারত সরকারের গত নয় বছরের কৃতিত্ব’ তুলে ধরবেন তাঁরা। এই নিয়ে খাড়্গে আপত্তি জানাতেই বিরোধিতা করলেন জেপি নাড্ডা।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে তিনি লিখেছেন, “কংগ্রেস পার্টির কাছে এটা বিজাতীয় ধারণা বলে মনে হতে পারে, কিন্তু জনসেবা প্রদান করা সরকারের কর্তব্য। যদি মোদি সরকার সমস্ত প্রকল্পের পরিপূর্ণতা নিশ্চিত করতে চায় এবং সমস্ত সুবিধাভোগীর কাছে তা পৌঁছন নিশ্চিত করতে চায়, তাহলে যারা গরিবের স্বার্থ রক্ষা করতে চান, তাদের কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু কংগ্রেসের স্বার্থ শুধু গরীবদের দারিদ্র্যের মধ্যে রাখা এবং সেই কারণেই তারা স্যাচুরেশন ড্রাইভের বিরোধিতা করছে।” আরও এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “প্রকল্পগুলির সুবিধা সবার কাছে পৌঁছেছে কিনা, তা নিশ্চিত করতে সরকারি কর্মচারীদের তৃণমূল স্তরে পৌঁছন নিয়ে কংগ্রেস পার্টির সমস্যা রয়েছে দেখে আমি বিস্মিত। এটা যদি শাসনের মূল নীতি না হয়, তাহলে কোনটা হবে? আর ‘রথ’-এর বিরোধিতা নিয়ে বলব, ব্যক্তিগত ইয়াট হিসাবে যুদ্ধজাহাজ ব্যবহার করার বদলে এটা জনসম্পদের উপযুক্ত ব্যবহার।”

শনিবারই, কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা জানান, ১৮ অক্টোবর কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের রাজস্ব বিভাগ যুগ্ম সচিব, ডিরেক্টর এবং উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের ‘রথ প্রভারি’ হিসাবে নিয়োগ করা হবে। দেশের ৭৬৫টি জেলা জুড়ে ২.৬৯ লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েতে যাবেন তাঁরা। ২০ নভেম্বর থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে এই অভিযান চলবে। শনিবার এক সরকারি সূত্র জানিয়েছিল, তাঁর সরকারের কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির সম্পূর্ণ হওয়া নিশ্চিত করতে, ছয় মাসের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আর সেই জন্য়ই সরকারি আমলাদের এই কাজে নিয়োগ করা হচ্ছে। এদিকে, কংগ্রেসের অভিযোগ, সরকারি কর্মচারিদের দিয়ে এক প্রকার ভোটের প্রচার করাচ্ছে বিজেপি। মোদীকে লেখা চিঠিতে খাড়্গে অভিযোগ করেছেন, সরকারের এই আদেশ আসলে ‘আমলাতন্ত্রের রাজনীতিকরণ’।