Raju Bista on GTA: কেন্দ্র যেন জিটিএ নির্বাচন খারিজ করে, লোকসভায় আর্জি রাজু বিস্তার
Parliament Winter Session: কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তিনি আবেদন করেন, "ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। যাতে গোর্খা জাতির উন্নয়ন হয়।"
নয়া দিল্লি: লোকসভা জিরো আওয়ারে সরব হলেন বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। লোকসভায় রাজু বিস্তা জানান, পাহাড়ে গোর্খাদের উন্নয়নের থমকে গিয়েছে। আর এই নিয়েই রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে দায়ী করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, মমতা সরকার পাহাড় নিয়ে শুধুই রাজনীতি করছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তিনি আবেদন করেন, “ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। যাতে গোর্খা জাতির উন্নয়ন হয়।”
লোকসভায় রাজু বিস্তা বলেন, দার্জিলিঙে অনেক দিন ধরে পৃথক রাজ্যের দাবি উঠে আসছে। তার মাঝে দুই বার আধা স্বতন্ত্র সংস্থা দিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হয়েছে। ১৯৮৮ সালে একবার দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিল গঠিত হয়েছিল। তারপর ২০১২ সালে কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার এবং দার্জিলিঙের স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে তৈরি হয় গোর্খা টেরিটরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএ। ২০১৭ সালে জিটিএর অস্তিত্ব শেষ হয়ে গিয়েছে।”
তাঁর আরও বক্তব্য, “২০১৭ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার দার্জিলিংকে নিয়ে রাজনীতি করে আসছে। তৃণমূল সরকার কোনওদিনই গোর্খাদের সঙ্গে ভাল আচরণ করেনি। ২০১৭ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত কখনও আমলাদের কখনও তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ লোকেদের বসিয়ে জিটিএ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর জন্য এলাকার লোকেদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার এবং সেখানকার আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে ত্রিপাক্ষিক আলোচনা শুরু হয়েছে। দার্জিলিং, তরাই, ডুয়ার্সের যে দাবি দাওয়া রয়েছে, সেগুলির একটি রাজনৈতিক সমাধান যাতে পাওয়া যায়, সেই কারণেই এই আলোচনা চলছে। কিন্তু এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দার্জিলিঙে যান এবং আবারও জিটিএ নির্বাচন করানোর কথা বলেন। এর জন্য দার্জিলিঙের পরিস্থিতি আবার খারাপ হচ্ছে।”
লোকসভায় বিজেপি সাংসদ কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেন, জিটিএর নির্বাচন কখনোই হওয়া উচিত নয়। জিটিএ-র মধ্যে কেন্দ্রও রয়েছে। তাই কেন্দ্র যেন এই জিটিএ নির্বাচনকে খারিজ করে দেয়। ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে, যাতে গোর্খা জাতির উন্নয়ন হবে।
উল্লেখ্য, অক্টোবর মাসেই কার্শিয়াঙে প্রশাসনিক বৈঠকের সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন, “নতুন ভোটার লিস্ট এলেই আমরা জিটিএ নিয়ে এগোব। আমরা পাহাড়ের উন্নয়ন চাই। নির্বাচন হওয়া জরুরি। নিজেদের মধ্যে কোনও বিরোধ নয়। ঝগড়া নয়। একসঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে উন্নয়নের কাজ করব। জিটিএ নির্বাচন হবে। ওটার সঙ্গে লেগে থাকতে হবে।” এখানেই না থেমে তৃণমূল নেত্রী আরও যোগ করেন, “সবসময় কাজে থাকতে পারবে এমন কাউকে জিটিএ-র দায়িত্ব দেওয়া ভাল।”
শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও জানান, পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। তবে আইন সংশোধন করেই পাহাড়ে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে এমনটাই জানান তৃণমূল সুুপ্রিমো। কীভাবে তা নিয়ে কাজ করা যায়, সেপ্রসঙ্গে অনীত থাপা রোশন গিরিদের সঙ্গে আলোচনার কথাও বলেন মমতা।
আরও পড়ুন : Mamata Banerjee: নতুন ভোটার তালিকা এলেই পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর