Ghulam Nabi Azad: ‘দরবারিরা কংগ্রেস জুড়ুন’, আজ়াদের কথা ধরেই চরম কটাক্ষ বিজেপির

BJP on Ghulam Nabi Azad's resignation: রাহুল গান্ধীর প্রবল সমালোচনা করে কংগ্রেস ছেড়েছেন গুলাম নবি আজ়াদ। তাঁর ইস্তফাপত্রের কথা তুলেই কংগ্রেসকে চরম কটাক্ষ করল বিজেপি।

Ghulam Nabi Azad: 'দরবারিরা কংগ্রেস জুড়ুন', আজ়াদের কথা ধরেই চরম কটাক্ষ বিজেপির
আজ়াদের কতার রেশ ধরেই কটাক্ষ করল বিজেপি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 26, 2022 | 6:14 PM

নয়া দিল্লি: কংগ্রেস-মুক্ত ভারতের কথা বারবারই শোনা যায় বিজেপি নেতাদের মুখে। ২০১৪ সালের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে এই লক্ষ্যে সাফল্য পেয়ে আসছে তারা। এই ধারাবাহিকতার সর্বশেষ ধাক্কাটা এসেছে শুক্রবার (২৬ অগস্ট), আর তাও বেশ জোরালোভাবে। দল ছেড়েছেন, ১৯৭৭ সাল থেকে কংগ্রেস করা, ইন্দিরা গান্ধী, সঞ্জয় গান্ধী, রাজীব গান্ধীদের ঘনিষ্ঠ নেতা গুলাম নবি আজ়াদ। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করবে না বিজেপি, তা কি হয়? আর এই ক্ষেত্রে গুলাম নবি আজাদের ইস্তফাপত্রেই লেখা কয়েকটি শব্দবন্ধকে অস্ত্র করে গেরুয়া শিবির বলল, ‘আপনারা কংগ্রেস জুড়ুন’।

চলতি বছরের শুরুতেই জনসেবায় তাঁর অবদানের জন্য গুলাম নবি আজাদকে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার, পদ্মভূষণে ভূষিত করা হয়েছিল। কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর ৫২ বছরের দীর্ঘ সম্পর্ক। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, সঞ্জয় গান্ধী, রাজীব গান্ধীদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। তবে, বনেনি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। ইস্তফাপত্রের প্রতি ছত্রে রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করেছেন তিনি। দলের সমস্যার জন্য সরাসরি রাহুলকেই দায়ী করেছেন। এদিন তিনি সনিয়া গান্ধীকে যে চিঠি দিয়েছেন, তাতে লিখেছেন, “এআইসিসি-র বর্তমান পরিচালনাকারী গোষ্ঠীর অধীনে, ভারতের পক্ষে যা সঠিক সেই বিষয়গুলি নিয়ে লড়াই করার ইচ্ছা এবং ক্ষমতা দুইই হারিয়েছে কংগ্রেস। বস্তুত, ভারত জোড়ো যাত্রার আগে নেতৃত্বের সারা দেশে কংগ্রেস জোড়ো অনুশীলন করা উচিত ছিল।”

আজ়াদের এই কথারই রেশ ধরে, বিজেপির পক্ষ থেকে টুইটে কংগ্রেস দলকে কটাক্ষ করা হয়েছে। আজ়াদের চিঠিটির ওই লাইনগুলি হাইলাইট করে পোস্ট করা হয়েছে। সঙ্গের ক্যাপশনে বিজেপি দলের পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, “দেশ আমরা জুড়ছি, দরবারিরা আপনারা কংগ্রেস জুড়ুন।”

প্রসঙ্গত, কংগ্রেস শিগগিরই সারা দেশব্যাপী ‘দেশ জোড়ো’ নামে এক গণ-আন্দোলন কর্মসূচি চালু করতে চলেছে। কংগ্রেসের ‘উদয়পুর চিন্তন শিবিরেই’ এই কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কংগ্রেসের সঙ্গে জনসংযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যেই দেশব্যাপী এই আন্দোলন করা হবে। তার আগে কংগ্রেস জোড়ার কথা বলে, দলের মধ্যে ফাটলেরই স্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন গোলাম নবি আজ়াদ।

এক সময়ে কংগ্রেসেই ছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। রাহুল গান্ধীর বিরোধিতা করেই তিনি দল ছেড়েছিলেন। গুলাম নবি আজ়াদের পদত্যাগের পর তিনি দাহি করেছেন, কংগ্রেসে শেষে শুধুমাত্র গান্ধীরাই পড়ে থাকবেন। তিনি আরও দাবি করেছেন, ২০১৫ সালে তিনি যে ইস্তফাপত্রটি দিয়েছিলেন, গুলাম নবি আজাদের চিঠিটিও বক্তব্যও একই রকম। “রাহুল অপরিপক্ক এবং অব্যবহারযোগ্য। শ্রীমতি সনিয়া গান্ধী দলের যত্ন নিচ্ছেন না, শুধুমাত্র নিজের ছেলের প্রচার করছেন। দলের প্রতি অনুগতরা একের পর এক দলত্যাগ করছে। ২০১৫ সালেই আমি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলাম যে, শুধুমাত্র গান্ধীরাই কংগ্রেসে পড়ে থাকবেন। কংগ্রেসের সবাই একই কথা মনে করে। কোনও বড় দলকে নেতৃত্ব দিতে যে যোগ্যতা লাগে তা তাঁর (রাহুল গান্ধী) নেই। এটা বিজেপির জন্য ভাল।”