‘প্রধানমন্ত্রীর নামেই প্রচার চালাব আমরা’, মহাপঞ্চায়েত থেকেই নয়া ‘মিশনে’র ঘোষণা তিকাইতের

বারাণসীকে "প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় দফতর" বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, লখনউ, বারাণসীর মতো শহরেও মহা পঞ্চায়েতের আয়োজন করা হবে।

'প্রধানমন্ত্রীর নামেই প্রচার চালাব আমরা', মহাপঞ্চায়েত থেকেই নয়া 'মিশনে'র ঘোষণা তিকাইতের
মহাপঞ্চায়েতের মঞ্চে রাকেশ তিকাইত। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 05, 2021 | 7:42 PM

মুজাফ্ফরনগর: প্রধানমন্ত্রীর নামেই এ বার প্রচার চালাবে আন্দোলনকারী কৃষকরা। মহাপঞ্চায়েত থেকে এমনটাই ঘোষণা করলেন কৃষক নেতা রাকেশ তিকাইত। তিনি বলেন, “যেহেতু বিজেপি শুধু প্রধানমন্ত্রীর নামেই প্রচার চালায়, তাই আমরাও এ বার থেকে ওনার নামেই প্রচার চালাব।”

শিক্ষক দিবসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে কৃষকদের শক্তির “পাঠ” পড়াতে আয়োজন করা হয়েছিল মহাপঞ্চায়েতের (Maha Panchayat)। উত্তর প্রদেশের মুজাফ্ফর নগরে আয়োজিত এই মহাপঞ্চায়েতে ১৫টি রাজ্যের কয়েক হাজার কৃষক যোগ দিয়েছিলেন। ওই সভামঞ্চ থেকেই বিকেইউ নেতা রাকেশ তিকাইত বলেন, “আমাদের আন্দোলনে শুধু প্রচার পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীই। উনি সবকিছুই বিক্রি করে দিচ্ছেন। আমরাও এবার সাধারণ মানুষকে জানাব যে দেশের কী কী সম্পত্তি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। সেটাও তো প্রধানমন্ত্রী নামেই প্রচারই হবে। বিদ্য়ুৎ, জল থেকে শুরু করে সরকারি সংস্থা, সবকিছুই বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে, সাধারণ মানুষকে সেই বিষয়ে জানানো  কি ভুল?”

মুজাফ্ফরনগরের মহাপঞ্চায়েত থেকেই “মিশন উত্তর প্রদেশ-উত্তরাখণ্ড”-র ঘোষণা করা হয়। তিকাইত জানান, আগামী বছর উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে কৃষকরা বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার চালাবে। বাদ যাবে না উত্তরাখণ্ডও।  মহাপঞ্চায়েত শেষে রাকেশ তিকাইত জানান, উত্তর প্রদেশের বাকি জেলাগুলিতেও মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করা হবে।

বারাণসীকে “প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় দফতর” বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, লখনউ, বারাণসীর মতো শহরেও মহা পঞ্চায়েতের আয়োজন করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য়নাথের আদি বাড়ি গোরখপুরেও মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করা হবে কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ওটা তো কৃষকদের শহর, যোগীজির জন্য তো মন্দির রয়েছে।”

মুফাজ্জরপুরে হিন্দু-মুসলিম বিভেদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ওগুলো অতীতের কথা। এখন আর কোনও বিভেদ নেই। কৃষক আন্দোলন দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সেতুর মতো কাজ করেছে। মুফাফ্ফরনগর এখন মোহাব্বতনগরে পরিণত হয়েছে।”

এদিকে, মহাপঞ্চায়েতে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় জেলা প্রশাসনের তরফে কড়া নিরাপত্তার ব্য়বস্থা করা হয়েছে। জেলার সমস্ত মদের দোকানও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, পঞ্জাবের ৩২টি কৃষক সংগঠনগুলির তরফে রাজ্য সরকারকে হুশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, আগামী ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যদি আন্দোলনকারী কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগগুলি প্রত্যাহার না করা হয়, তবে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন তারা।

গত বছরের নভেম্বর মাস থেকেই কৃষকরা কেন্দ্রের জারি করা তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চালাচ্ছে। দিল্লির তিন সীমানা, সিংঘু, তিকরি ও গাজিপুর সীমান্ত দখল করে আন্দোলন চালাচ্ছে। তাদের দাবি, তিনটি কৃষি আইন প্রত্য়াহার করতে হবে এবং ফসলের ন্য়ূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি করতে হবে।

কেন্দ্রের তরফে ১০ দফা বৈঠকে বসলেও এখনও অবধি কোনও সুরাহা মেলেনি। এক থেকে দেড় বছরের জন্য আইন স্থগিত রাখাক প্রস্তাবও দেওয়া হয়, কিন্তু কৃষকরা আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই অটল রয়েছে। আরও পড়ুন: ‘ক্ষমতায় এলে পশ্চিমবঙ্গের নয়, মন্ত্রী হবেন ত্রিপুরার সাধারণ মানুষ’, আশ্বাস মলয় ঘটকের