মিগ-২৯কে ভেঙে পড়ার ১১ দিন পর উদ্ধার পাইলটের দেহ

আজ ভারতীয় নৌসেনার তরফে প্রকাশিত একটি বিবৃতি বলা হয়,"দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই একটি দেহের অবশিষ্টাংশ পাওয়া গিয়েছে। পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ (DNA) স্যাম্পেল সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে।"

মিগ-২৯কে ভেঙে পড়ার ১১ দিন পর উদ্ধার পাইলটের দেহ
মিগ-২৯কে বিমান। ছবি: সংগৃহীত।
Follow Us:
| Updated on: Dec 07, 2020 | 9:17 PM

নয়া দিল্লি: ভারতীয় বায়ুসেনার মিগ-২৯ কে (MiG-29K) ভেঙে পড়ার ১১ দিন পর খোঁজ মিলল বিমানের পাইলট কমান্ডার নিশান্ত সিং (Nishhant Singh)-য়ের। নৌবাহিনী (Indian Navy)-র তরফে জানানো হয়, আজ গোয়ার উপকূল থেকে ৩০ মাইল দূরে সমুদ্রের ৭০ মিটার গভীরে তাঁর দেহের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।

২৬ নভেম্বর মিগ-২৯কে বিমান মহড়া চলাকালীনই আরব সাগরে (Arabian Sea) ভেঙে পড়ে। বিমানে সেই মূহুর্তে উপস্থিত ছিলেন দুই পাইলট। প্রশিক্ষণরত পাইলটকে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করা হলেও খোঁজ মেলেনি কমান্ডার নিশান্ত সিংয়ের। তবে উদ্ধার হওয়া ওই পাইলট জানায়, বিমান থেকে দ্বিতীয় একটি প্যারাস্যুট বের হতে দেখেছিল সে।

বিমানটি ভেঙে পড়ার পরই পাইলটের খোঁজে হেলিকপ্টার, নৌবাহিনীর জাহাজ নামানো হয়। যোগাযোগ করা হয় মৎসজীবীদের সঙ্গেও। স্থলভাগেও খোঁজ চালানো হয়, কিন্তু কোনও ফল মেলেনি। চারদিন বাদে নৌবাহিনীর বিশেষজ্ঞরা দুর্ঘটনাস্থল চিহ্নিত করে। সেখানেও মিগ-২৯কে-র ইজেকশন সিট (Ejection seat)-র কোনও অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: করোনা আবহে রহস্যজনক রোগ ছাড়াচ্ছে দেশে, আক্রান্ত প্রায় ৪০০, মিলেছে মৃত্যুর খবর

আজ ভারতীয় নৌসেনার তরফে প্রকাশিত একটি বিবৃতি বলা হয়,”দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই একটি দেহের অবশিষ্টাংশ পাওয়া গিয়েছে। পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ (DNA) স্যাম্পেল সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে।”

মিগ-২৯কে (MiG-29K) বিমানে রাশিয়ার তৈরি কে-৩৬ডি-৩.৫ ইজেকশন সিট (K-36D-3.5 Ejection Seat)-র ব্যবহার করা হয়েছে। এই ইজেকশন হ্যান্ডেল টানলেই একে একে পিছনের সিটের পাইলট ও পরে সামনের সিটের পাইলট সুরক্ষিতভাবে বিমান থেকে বের হয়ে যাবেন।

সূত্র অনুযায়ী, মিগের পাইলট নিশান্ত সিং বিমান থেকে বের হওয়ার সময় বিমানের উচ্চতা অত্যন্ত কম হওয়ায় আঘাত থেকে বাঁচতে পারেননি তিনি।

আরও পড়ুন: লক্ষ্মণের লাঙলের ফালে উঠে এল ৬০ লাখের হিরে