LinkedIn Post Controversy: ‘কাঁদবেন না তো…’, ফ্রেশারদের দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করার পরামর্শ দিলেন CEO
LinkedIn Post Controversy: তিনি পোস্টে আরও লেখেন, "যখন আপনার বয়স ২২ বছর এবং আপনি সবে কাজ শুরু করেছেন, তখন নিজের সবটা কর্মক্ষেত্রে দেওয়া উচিত। ভাল খাবার খান ও সুস্থ থাকুন।"
নয়া দিল্লি: চাকরি জীবনে পা রাখার পরই শুরু হয়ে যায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লড়াই। কিন্তু সেই পথ তো সহজ নয়। প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা অফিসে কম্পিউটার স্ক্রিনের সামনে বসে থেকে বা রাস্তা-ঘাটে ছোটাছুটি করেই নিজেদের যোগ্যতা ও দক্ষতার প্রমাণ দিতে হয়। তবে কর্মজীবনে পা রাখার অর্থ তো এই নয় যে ব্যক্তিগত জীবন বলে কিছু থাকবে না। কর্মজীবনের শুরুতে একজন নবাগতের দিনে কত ঘণ্টা কাজ করা উচিত , তা নিয়েই এবার শুরু হল বিতর্ক। আর এই বিতর্কের শুরু সূত্রপাত হয়েছে বম্বে শেভিং কোম্পানির সিইও শান্তনু দেশপাণ্ডের একটি পোস্ট ঘিরেই।
কী লেখা ছিল ওই পোস্টে?
সম্প্রতিই বম্বে শেভিং কোম্পানির সিইও শান্তনু দেশপাণ্ডে লিঙ্কড-ইনে একটি পোস্ট করেন, সেখানে তিনি বলেন যে, কর্মজগতে যারা সবে পা রেখেছেন, তাদের নিজের কর্মক্ষেত্রকে মন্দিরের মতো গণ্য করা উচিত। কর্মজীবনের শুরুর কয়েক বছর তাদের দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করা উচিত নিজেদের প্রমাণ করতে। বর্তমান সময়ে ব্যক্তিগত ও কর্মজীবনের মধ্যে ভারসাম্য আনার যে কথা বলা হচ্ছে, তা সদ্য কাজ শুরু করেছেন যারা, তাদের জন্য প্রয়োজনীয় নয়।
তিনি পোস্টে আরও লেখেন, “যখন আপনার বয়স ২২ বছর এবং আপনি সবে কাজ শুরু করেছেন, তখন নিজের সবটা কর্মক্ষেত্রে দেওয়া উচিত। ভাল খাবার খান ও সুস্থ থাকুন। কিন্তু কর্মজীবনের প্রথম ৪-৫ বছর কমপক্ষে দিনের ১৮ ঘণ্টা কাজের জন্যই ব্যায় করুন। আমি দেখি যে বহু যুবক-যুবতীরাই নানা ধরনের কনটেন্ট দেখেন এবং কর্ম ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর কথা বলেন। এটা অবশ্যই প্রয়োজনীয় কিন্তু এতও আগে নয়। কর্মজীবনের শুরুতে কর্মক্ষেত্রকেই পুজো করা উচিত। কান্না-কাটি করবেন না, মাথা উচু করে কাজ করুন। এটাই আপনার জন্য ভাল হবে।”
Absolute unhinged shit take from the CEO of the Bombay shaving company. pic.twitter.com/bV0ascJM4b
— Brenden (@sr71brenden) August 30, 2022
এদিকে, বম্বে শেভিং কোম্পানির সিইও-র এই পোস্ট দেখেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। একাধিক টুইটার ব্যবহাকারীই দেশপাণ্ডের এই চিন্তাধারার সমালোচনা করেছেন এবং দেশে কর্ম সংস্কৃতি কীভাবে ধীরে ধীরে বিষাক্ত হয়ে উঠছে, তার বর্ণনা দেন। যেখানে দেশোর প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ব্যাপক ছাঁটাই চলছে, সেই সময়ে একটি সংস্থার কর্ণধার কীভাবে কর্মচারীদের এভাবে পরিশ্রম করানোর কথা বলতে পারেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অনেকে।