Goa Foreigner Assault : মালিশ দেওয়ার নামে ফাঁসানো হল ব্রিটিশ পর্যটককে, ধর্ষণের শিকার মহিলা
Goa Foreigner Assault : গোয়ায় ছুটি কাটাতে এসেছিলেন মহিলা। কিন্তু সমুদ্র সৈকতে মালিশ দেওয়ার নাম করে ঠকানো হল মহিলাকে। নিজের পুরুষ সঙ্গীর সামনেই ধর্ষণের শিকার তিনি।
পানাজি : পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে গোয়ার সৈকতে ঘুরতে এসেছিলেন ব্রিটিশ মহিলা। কিন্তু এখানে এসে কদর্য ঘটনার সাক্ষী হতে হল তাঁকে। ছুটি কাটাতে আসার আগে এই ঘটনা হয়তো তিনি দুঃস্বপ্নেও দেখেননি। মালিশ দেওয়ার নাম করে গোয়ার সৈকতে এক যুবক তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ব্রিটিশ মহিলার। সেইখানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর পুরুষ সঙ্গীও। ইতিমধ্য়েই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পার্টনারের সঙ্গে গোয়ার সমুদ্র সৈকতে ছুটি কাটাতে এসেছিলেন ব্রিটিশ মহিলা। গোয়ার সৈকতের কাছাকাছি সুইট ওয়াটার লেকে শুয়ে ছিলেন মহিলা। সঙ্গে ছিলেন তাঁর পার্টনারও। সেই সময় গোয়ার এক যুবক এসে তাঁরে মালিশ দেওয়ার কথা জানান। মালিশ দেওয়ার নাম করেই মহিলাকে ওই যুবক ধর্ষণ করেন বলেই অভিযোগ করেন তিনি। গত ২ রা জুনের ঘটনা। কিন্তু তিনি পুলিশের কাছে যেতে প্রথমে ইতস্তত বোধ করেন। তিনি প্রথমে ব্রিটেনে তাঁর পরিবারের সদস্যের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেন এবং ভারতের ব্রিটিশ দূতাবাসের থেকে সাহায্য চান। তারপরই গতকাল পারনেম পুলিশ স্টেশনে তিনি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই ইনস্পেক্টর বিক্রম নায়েকের নেতৃত্বে পারনেম পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এবং অভিযুক্ত স্থানীয় যুবক ভিনসেন্ট ডি’সুজাকে গ্রেফতার করে। গতকাল রাতেই নির্যাতিতা ও অভিযুক্তের পানাজির কাছে মাপুসা শহরের একটি জেলা হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, উত্তর গোয়া জেলায় আরামবোল সৈকতে একটি গ্রুপ বেআইনিভাবে মালিশ দিয়ে থাকে। ওই গ্রুপেরই অংশ ডি’সুজা। এর আগে সে একটি স্কুলে লাইব্রেরিয়ান হিসেবেকাজ করত। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ‘অভিযুক্ত বর্তমানে লাইব্রেরিয়ান পদে কাজ করছে না। তার অতীতের রেকর্ড পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ স্টেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় মামলা করা হয়েছে।