AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

PM POSHAN: সত্যিই কি কমেছে ‘পিএম পোষণে’র বাজেট বরাদ্দ? মালা রায়ের প্রশ্নে কী বলল শিক্ষা মন্ত্রক?

Budget allocation for PM POSHAN: 'পিএম পোষণ শক্তি নির্মাণ' প্রকল্পের আওতায় সরকারি এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় চলা স্কুলগুলির প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এক বেলা করে রান্না করা খাবার দেওয়া হয়। চলতি অর্থবর্ষে কি এই প্রকল্পের বাজেট বরাদ্দ কমানো হয়েছে? তৃণমূল সাংসদ মালা রায়ের প্রশ্নে কী জানালো সংসদ?

PM POSHAN: সত্যিই কি কমেছে 'পিএম পোষণে'র বাজেট বরাদ্দ? মালা রায়ের প্রশ্নে কী বলল শিক্ষা মন্ত্রক?
শিশুদের শিক্ষা এবং খাদ্য সমস্যার সমাধানই লক্ষ্য পিএম পোষণ প্রকল্পের
| Edited By: | Updated on: Mar 13, 2023 | 4:28 PM
Share

নয়া দিল্লি: ভারতীয় শিশুদের মূল দুই সমস্যা – শিক্ষা এবং খাদ্য সমস্যার সমাধান করার লক্ষ্যে ২০০৮ সালে চালু করা হয়েছিল ‘পিএম পোষণ’ বা ‘পিএম পোষণ শক্তি নির্মাণ’ প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় সরকারি এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় চলা স্কুলগুলির প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এক বেলা করে রান্না করা খাবার দেওয়া হয়। কাজেই, ভারতীয় শিশুদের স্বাস্থ্যের বিকাশে এই প্রকল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেটে এই প্রকল্পে ১১,৬০০.০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যা, এই প্রকল্পে গত অর্থবর্ষের বাজেট বরাদ্দের থেকে ১৩৬৬.২৫ কোটি টাকা বেশি বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তারপরও এই প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ কমানো হয়েছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করেছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে লিখিতভাবে প্রশ্ন করেছিলেন দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়। সোমবার (১৩ মার্চ) লোকসভায় তাঁর প্রশ্নের জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী যাদব।

কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে মালা রায় তিনটি প্রশ্ন করেছিলেন, ১. পিএম পোষণ প্রকল্পে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের সংশোধিত বরাদ্দের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই প্রকল্পে বরাদ্দ অর্থ ৯ শতাংশ কম বলে শোনা যাচ্ছে। এটা কি সত্যি? ২. যদি সত্যি হয়, তাহলে এর কারণ কী? ৩. ২৮.০২.২০২৩ তারিখ পর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতায় কোন রাজ্যকে কত টাকা দেওয়া হয়েছে?

এর জবাবে শিক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী যাদব জানিয়েছেন, পিএম পোষণ প্রকল্পে বরাদ্দ কমানো হয়নি। কাজেই দ্বিতীয় প্রশ্নটির উত্তর দেওয়া অপ্রয়োজনীয়। তিনি জানিয়েছেন, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে পিএম পোষণ প্রকল্পে বাজেট বরাদ্দ ছিল ১০,২৩৩.৭৫ কোটি টাকা। কিন্তু, বিভিন্ন কারণে এই আর্থিক বছরে, বেশ কয়েকটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পিএম পোষণ প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তি দেওয়া যায়নি বা আংশিকভাবে দেওয়া হয়েছে। সেই অর্থ তাদের দিতেই হত। তার উপর, ২০২২-এর অক্টোবরে যে অনুমান করা হয়েছিল, তার তুলনায় বিভিন্ন জিনিসের ব্যয় ৯.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সমস্ত কারণেই ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্য, বরাদ্দ করা অর্থ সংশোধন করেছে অর্থ মন্ত্রক। সংশোধনের পর, এই অর্থছবর্ষে পিএম পোষণ প্রকল্পে বরাদ্দ অর্থ বেড়ে ১২,৮০০.০০ কোটি টাকা হয়েছে। অন্যদিকে, ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের জন্য এই প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয়েছে ১১৬০০.০০ কোটি টাকা। এই বরাদ্দ অর্থ চলতি আর্থিক বছরে পিএম পোষণ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য যথেষ্ট বলেই জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী।

একই সঙ্গে একেবারে তালিকা তৈরি করে পিএম পোষণ প্রকল্পে কোন রাজ্যকে কত অর্থ দেওয়া হয়েছে, তাও জানিয়েছেন অন্নপূর্ণা দেবী যাদব। এই তালিকা অনুযায়ী, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে পিএম পোষণ প্রকল্পের আওতায় সবথেকে বেশি অর্থ দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গকে, ৮৪,২৩৬.৯৯ টাকা। এরপর আছে বিহার (৭৬,৩৯৯.১২ টাকা), উত্তরপ্রদেশ (৭০০১০.৬৯ টাকা), মহারাষ্ট্র (৬৩,৯৭৫.৯৯ টাকা), অসম (৫৬,১৯৭.১৭ টাকা)। অন্যদিকে, আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, লক্ষদ্বীপ এবং পুদুচেরি – এই তিন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই প্রকল্পের আওতায় একটি টাকাও দেওয়া হয়নি।