Goa Video: রিসর্টে ঢুকে পর্যটকদের ছুরি-তলোয়ারের আঘাত, এটা গোয়া? রক্তাক্ত ভিডিয়ো দেখে থ নেট দুনিয়া

Goa Anjuna resort video: পর্যটকদের স্বর্গরাজ্য গোয়ায় রিসর্টে ঢুকে ছুরি-তলোয়ার নিয়ে হামলা চালাল স্থানীয় গুন্ডারা। ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার দিল্লি থেকে আগত এক পরিবার।

Goa Video: রিসর্টে ঢুকে পর্যটকদের ছুরি-তলোয়ারের আঘাত, এটা গোয়া? রক্তাক্ত ভিডিয়ো দেখে থ নেট দুনিয়া
ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার দিল্লির পরিবার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 13, 2023 | 4:14 PM

পানাজি: নিরাপত্তা নিয়ে কোনও উদ্বেগ ছাড়া সমুদ্র সৈকত উপভোগ করার দুর্দান্ত সুযোগ, গোয়াকে এভাবেই চেনেন পর্যটকরা। পর্যটকদের এই স্বর্গরাজ্যে ছুরি-তলোয়ার নিয়ে হামলা চালাচ্ছে স্থানীয় গুন্ডারা, এমনটা অভাবনীয়। কিন্তু, ঠিক এমনই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন দিল্লি থেকে গোয়া বেড়াতে আসা এক পরিবার। অভিযোগ, রবিবার বিকেলে সদ্য ছাঁটাই হওয়া এক হোটেলকর্মী এবং তার পরিচিত স্থানীয় গুন্ডারা রিসর্টে হানা দেয়। ওই পরিবারের সদস্যদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। ঘটনার বেশ কিছু ছবি ও ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেইসব ছবি-ভিডিয়োতে তাদের ক্ষত কতটা গভীর, তা স্পষ্ট ধরা পড়েছে। আক্রান্ত পরিবারের আরও অভিযোগ, স্থানীয় পুলিশও ওই গুন্ডাদের রক্ষা করার চেষ্টা করেছে। তাদের অভিযোগকে গুরুত্ব দেয়নি। বিষয়টি গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের নজরে আসার পর, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু, ঠিক কী ঘটেছি? কেন আচমকা হামলা হল ওই পর্যটক পরিবারের উপর?

আক্রান্ত পরিবারের অন্যতম সদস্য যতীন শর্মা, তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে পুরো ঘটনাটির বিবরণ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, অঞ্জুনা সৈকতে এক রিসর্টে উঠেছিলেন তাঁরা। রিসর্টের এক কর্মীর সঙ্গে ঝামেলা হওয়ার পর, তাঁর নামে তিনি রিসর্টটির ম্যানেজারের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। তারপরই, ওই কর্মীকে ছাঁটাই করে রিসর্ট কর্তৃপক্ষ। সেই রাগেই পরে দলবল নিয়ে ওই কর্মী রিসর্টে হানা দেয়। যতীন শর্মা আরও অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো সময় তিনি ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারা বা হত্যার চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ দায়ের করে ৩২৪ ধারা, যা ইচ্ছাকৃতভাবে বিপজ্জনক অস্ত্র নিয় হামলার অপরাধের ধারা। এই দারা জামিন যোগ্য। যতীনের অভিযোগ এই ধারার অধীনে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে, কিছু পরেই তাদের ছেড়ে দিয়েছিল।

পরে রবিবার সন্ধ্যায় গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী ঘটনাটির সমালোচনা করে টুইট করেন। প্রমোদ সাওয়ান্ত সাফ জানান, এই ঘটনার পিছনে সমাজবিরোধীদের হাত রয়েছে। তিনি আরও জানান, তিনি পুলিশ বিভাগকে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই টুইটের পরই এফআইআর-এ ৩০৭ ধারা যুক্ত করা হয়। সেই সঙ্গে রয়স্টন ডায়াস, নিরো ডায়াস এবং কাশীনাথ আগরওয়াড়েকর নামে তিন অভিযুক্তকে ফের গ্রেফতার করা হয়েছে। গোয়া পুলিশ আরও জানিয়েছে, অঞ্জুনা থানার যে পুলিশ আধিকারিকরা অভিযুক্তদের সহায়তা করার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।