ভিডিয়ো: ব্রেক কষতেই সামনে হুড়মুড়িয়ে পড়ল গাছ-পাথর! অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীবাহী বাস

যাত্রীদের কথায়, চালক যদি বিপদ বুঝে সঠিক সময়ে ব্রেক না কষতেন, তবে পাথরের অভিঘাতে গোটা বাসটিই খাদে গিয়ে পড়ত।

ভিডিয়ো: ব্রেক কষতেই সামনে হুড়মুড়িয়ে পড়ল গাছ-পাথর! অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীবাহী বাস
ধস নামছে পাহাড় থেকে। পালাচ্ছেন যাত্রীরা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 21, 2021 | 2:10 PM

নৈনিতাল: ব্রেক কষতে আর এক মিনিটও দেরি  হলেই যাত্রীবোঝাই বাসটি সোজা চলে যেত খাদের গহ্বরে। শুক্রবার উত্তরাখণ্ড(Uttarakhand)-র নৈনিতালে অল্পের জন্য ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় একটি যাত্রীবোঝাই বাস। পাহাড়ে মোড় ঘুরতেই আচমকাই সামনে হুড়মুড়িয়ে নেমে আসতে থাকে পাথর। বাসের চালক কোনও মতে ব্রেক কষে দাঁড় করাতেই ঠিক বাসের সামনেই নামে ভূমিধস।

এক মিনিটের ওই ভিডিয়োটি ইতিমধ্য়েই ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে। দেখা যাচ্ছে বাসটির সামনেই ধস নেমেছে। পাহাড় থেকে লাগাতার পাথর, বোল্ডার ও কাদামাটি নেমে আসছে। ধস কিছুটা কমতেই যাত্রীরা হাতে ব্য়াগ নিয়ে বাস থেকে নেমে পড়েন ও পিছন দিকে দৌড়তে থাকেন। বাসের চালককেও দেখা যায়, রিভার্সে বাসটিকে ধসের জায়গা থেকে কিছুটা পিছিয়ে আনতে।

নৈনিতালে (Nainital) বিগত কয়েক দিন ধরেই লাগাতার বৃষ্টি হওয়ার জেরেই ওই ধস নেমেছে। যদিও গতকালের ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। বাসটি পিছনে সরিয়ে আনার পরই দেখা যায়, ঠিক সেই জায়গাতেও পাহাড় থেকে মাটি-পাথর গড়িয়ে নামছে, এমনকি আস্ত গাছ উপড়ে পড়তেও দেখা যায়। লাগাতার ধসের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাস্তাটি।

যাত্রীদের কথায়, চালক যদি বিপদ বুঝে সঠিক সময়ে ব্রেক না কষতেন, তবে পাথরের অভিঘাতে গোটা বাসটিই খাদে গিয়ে পড়ত। যে হারে ধস নামছিল, তাতে যাত্রীদের বাঁচার সম্ভাবনাও ছিল না। কিন্তু চালকের বিচক্ষণতায় সকল যাত্রীর প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী দুই দিনও উত্তরাখণ্ডে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে।  রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে, কারণ বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই লাগাতার বৃষ্টির জেরে একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে।

গত ১১ অগস্ট হিমাচল প্রদেশের কিন্নরেও বৃষ্টির কারণে ধস নামে। রেকং পেও-সিমলা হাইওয়ের মাঝেই আটকে পড়ে রাজ্য পর্যটন দফতরের একটি বাস, একটি ট্রাক ও কয়েকটি ছোট গাড়ি। ধসের অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে পাথরের ধাক্কায় বাসের চালক ছিটকে পড়ে যান। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। দুপুর থেকেই উদ্ধারকার্যে নামে সেনা বাহিনী, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ও আইটিবিপির জওয়ানরা। ধসের জেরে বারবার উদ্ধারকার্য ব্যহত হলেও টানা এক সপ্তাহ ধরে উদ্ধারকার্য চালানোর পর মোট ২৭টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।   আরও পড়ুন: তালিবানদের নজর এড়িয়ে ভোরেই উড়ান বায়ুসেনার, দেশে ফিরছে আরও ৮৫ ভারতীয়