CBI on Money Transfer: কীভাবে ৬ হাজার কোটি টাকা হংকংয়ে পাঠানো হয়েছে, জানাল সিবিআই
Chargesheet: বিশেষ সিবিআই আদালতের কাছে জমা দেওয়া চার্জশিটে সিবিআই দাবি করেছে, একদল অসাধু ব্যক্তি ব্যাঙ্ক অ্যাকউন্ট খুলে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সেখানে টাকা জমা দিয়েছে।
নয়া দিল্লি: সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা সিবিআই বেআইনি টাকা পাচার মামলায় দুটি সাপলিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিয়েছে। জানা গিয়েছে, দিল্লির ব্যাঙ্ক অব বরোদা থেকে বেআইনিভাবে এবং আমাদানির নামে হংকংয়ে ৬ হাজার কোটি টাকা পাঠানো হয়েছিল। বিশেষ সিবিআই আদালতের কাছে জমা দেওয়া চার্জশিটে সিবিআই দাবি করেছে, একদল অসাধু ব্যক্তি ব্যাঙ্ক অ্যাকউন্ট খুলে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সেখানে টাকা জমা দিয়েছে।
তনুজ গুলাটি, ইস কুমার, উজ্জল সুরি, হামি গোয়েল, সানি ওয়াধবা, রাকেশ কুমার, সাগর গুলাটি, ভানু গুলাটি এবং ভিপিসি ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্ট প্রাইভেট লিমিটেড সহ চার্জশিটে ৯ জনের নাম উল্লেখ করেছে সিবিআই। 2015 সালে ব্যাঙ্ক অফ বরোদা ব্রাঞ্চের 59 টি কারেন্ট একাউন্ট থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ গুলিতে বেআইনিভাবে টাকা পাঠানো হয়েছিল। 2015 সাল থেকে এই মামলার তদন্তে নামে সিবিআই।
তদন্তে নেমে সিবিআই জানতে পারে 2013 সাল থেকে এই ধরনের লেনদেন চলছে। অশোক বি আই ব্রাঞ্চ থেকে 2014 সালের জুলাই মাস থেকে 2015 সালের জুলাই মাস অবধি মোট ৮ হাজারটি লেনদেন করা হয়েছে। লেনদেনের মাধ্যমে সব মিলিয়ে মোট ৬ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাঠানো হয়েছিল।
সিবিআই এর এক তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়েছেন, বেশিরভাগ লেনদেন নতুনভাবে খোলা ব্যাংক একাউন্ট থেকে করা হয়েছিল। তদন্ত ভেবে আধিকারিকের জানতে পেরেছেন লেনদেনের ক্ষেত্রে অসাধুরা ১ লক্ষ মার্কিন ডলারের কম অঙ্ক ব্যবহার করত। অস্বাভাবিক লেনদেন হলেও, ব্যাংকের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। জানা গিয়েছে যে সংস্থা গুলির নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট গুলো খোলা হয়েছিল তাই বেশিরভাগ তথ্যই ভুয়ো, অথবা সেই ঠিকানায় ওই রকম কোনও সংস্থার অস্তিত্বই নেই। আগামী দিনে এই তদন্তর গতি প্রকৃতি কোন দিকে যায় সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।