৩১ অগস্ট পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ল কেন্দ্রের গাইডলাইনের, রাজ্যগুলিকে কোভিড বিধি নিয়ে কড়া নির্দেশ
Covid Guideline: সংক্রমণ কমেছে বলে আত্মতুষ্টিতে ভুগলে চলবে না। রাজ্যগুলিকে চিঠি দিয়ে বলল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Home Ministry)।
নয়া দিল্লি: করোনা পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। দেশে তৃতীয় তরঙ্গের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। আর সে কথা মাথায় রেখেই ৩১ অগস্ট পর্যন্ত দেশ জুড়ে করোনা সংক্রান্ত গাইডলাইনের মেয়াদ বাড়াল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বুধবার কেন্দ্রের তরফে এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি লিখে জানিয়েছে যাতে করোনা বিধির ক্ষেত্রে কোনও ছাড় না দেওয়া হয়। বিশেষত যে সব জেলায় করোনা সংক্রমণের হার অনেকটাই বেশি, সেখানে নজর রাখার কথা বলা হয়েছে। এর আগে ৩১ জুলাই পর্যন্ত এই গাইডলাইনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল।
বুধবার কেন্দ্রের তরফ থেকে স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা রাজ্যগুলিকে চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, ‘কোনও আত্মতৃপ্তির জায়গা নেই।’ সংক্রমণ কমাতে অবশ্যই গাইডলাইন মানতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিশেষত যে সব জায়গায় ভিড় বেশি সে দিকে নজর দিতে বলেছেন তিনি। চিঠিতে লিখেছেন, ‘আসন্ন উৎসবের মরশুমে সব নিয়ম মেনে চলতে হবে। সংক্রমণের সংখ্যা কমে যাওয়ায় অনেক রাজ্যই বিধিনিষেধ তুলে দিচ্ছে। কিন্তু সংখ্যা কমে যাওয়ায় আত্মতুষ্টি হলে চলবে না। মনে রাখতে হবে সার্বিকভাবে সংক্রমণের সংখ্যা এখনও অনেক বেশি। তাই বিধিনিষেধে ছাড় দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।
এ দিকে আজ বুধবার সকালেই একধাক্কায় অনেকটা বেড়েছে সংক্রমণ। চার মাস বাদে মঙ্গলবারই দৈনিক সংক্রমণ নেমেছিল ৩০ হাজারের নীচে। ২৪ ঘণ্টা পরই ফের বাড়ল দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৬৫৪ জন। একইসঙ্গে বেড়েছে দৈনিক মৃতের সংখ্যাও একদিনেই মৃত্যু হয়েছে ৬৪০ জনের। অর্থাৎ একদিনেই ৪৭ শতাংশ সংক্রমণ বেড়েছে।
দীর্ঘ কয়েক মাস বাদে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা চার লক্ষের নীচে নেমেছে। বেড়েছে সুস্থতার হারও। একদিনেই সক্রিয় রোগী (Active Case)-র সংখ্যা ১৩৩৬ কমায় বর্তমানে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৯৯ হাজার ৪৩৬-এ কমে দাঁড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪১ হাজার ৬৭৮ জন। এই নিয়ে দেশে মোট সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩ কোটি ৬ লক্ষ ৬৩ হাজার ১৪৭-এ। আরও পড়ুন: ‘গণতন্ত্রের অধিকারে বিশ্বাসী দুই দেশ’, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুতের বার্তা ব্লিনকিনের