Amit Shah: ৫৭ তে পা অমিত শাহ-র, স্টক ব্রোকার থেকে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একনজরে ‘শাহি উত্থান’
Amit Shah, Central Home Ministry,রাজনীতিতে অমিতের উত্থান কিন্তু যথেষ্টই ঈর্ষনীয়। আরএসএস এর ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের হাতে ধরে রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় অমিতের। এরপরেই তিনি বিজেপির (BJP) যুব সংগঠন ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন
কলকাতা: আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির অন্যতম শীর্ষনেতা অমিত শাহ-র (HM Amit Shah) ৫৭ তম জন্মদিন। দেশের রাজনীতিতে অমিতের আরও একটি পরিচয় আছে। তাঁর গুণগ্রাহীরা তাঁকে অধুনা ভারতীয় রাজনীতির চাণক্য বলে থাকেন। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদ্বীপ সিং পুরী থেকে শুরু করে, সর্বানন্দ সোনওয়াল, আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা, শিবসেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশের মত অনেকেই অমিতকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
রাজনীতিতে অমিতের উত্থান কিন্তু যথেষ্টই ঈর্ষনীয়। আরএসএস এর ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের হাতে ধরে রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় অমিতের। এরপরেই তিনি বিজেপির (BJP) যুব সংগঠন ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। এরপরেই ক্রমশ রাজনীতিতে অমিতের উঠে আসতে থাকেন। ১৯৯৯ সালে প্রথম বারের জন্য গুজরাটে বিজেপি ক্ষমতায় এলেও গ্রামীণ এলাকায় কংগ্রেস যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল। মোদী শাহ জুটি একত্রে গ্রামীণ এলাকায় কংগ্রেসকে দুর্বল শক্তিতে পরিণত করেন।
২০০১ সালে নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী করে বিজেপি। এরপর ২০০২ সালের গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করেন অমিত। প্রায় দেড় লক্ষেরও বেশী ভোটে নির্বাচিত হয়ে রেকর্ড তৈরি করেন তিনি। ২০০৭ সালে আরও বেশী ভোটে নির্বাচিত হন তিনি। ২০০২ সালে ভোটে জেতার পর নিজের ক্যাবিনেটে আস্থাভাজন শাহকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গুরুদায়িত্ব তুলে দেন নরেন্দ্র মোদী। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি অমিতকে।
২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পিছনে অমিতের বিরাট অবদান ছিল। দেশের সব থেকে বড় রাজ্য উত্তর প্রদেশে মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন শাহ। ফল মেলে হাতে না হাতে। ৮০ টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৭৩ টি আসনে জেতে বিজেপি। কোনও দল এর আগে একসঙ্গে এতগুলি আসন জিততে পারেনি। নির্বাচনে এই বিপুল সাফল্য শাহকে সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি হওয়ার দিকে কয়েক ধাপ এগিয়ে দেয়। জুলাই মাসে বিজেপির জাতীয় সভাপতির দায়িত্ব পান অমিত। বিজেপি সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই একের পর এক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়েন অমিত। সাফল্যও আসে পরপর। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, অসম. ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে সরকারে আসে বিজেপি।
২০১৯ সালে দ্বিতীয়বারে জন্য বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে সরকারে আসার পর নিজের সব থেকে আস্থাভাজন অমিতকে মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পরেই কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার, তিন তালাক বিরোধী আইন পাশ বা নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের মত গুরুত্বপূর্ণ আইন গুলি অমিতের হাত ধরেই সংসদে পাশ হয়।
আরও পড়ুন Kerala Rain Update: বিপদ পিছুই ছাড়ছে না ঈশ্বরের রাজ্যে, ভারী বৃষ্টিতে ফের জারি হলুদ-কমলা সতর্কতা